ভূরুঙ্গামারীতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘুরছে দলছুট বানর

কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘুরছে দলছুট বানর। হঠাৎ বাড়ির ছাদে, টিনের চালে, এগাছ থেকে ও গাছের ডালে ছোটাছুটি করছে দলছুট একাধিক বানর। বানর দেখে বড়রা আনন্দ পেলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নারীসহ শিশুরা। আবার উন্মুক্ত অবস্থায় বানরের কাণ্ড দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে লোকালয়ে ছুটে আসা বানর দেখে কিশোর বয়সীরা আনন্দে মেতেছে।

উপজেলা পরিষদের পাশে ২টি ও বঙ্গ সোনাহাট বাজারের পাশে ১ টি বানর দেখতে পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ লেনেরপাশে শরিফ উদ্দিন নামের এক ব‍্যক্তির বাড়ির ছাদে দেখা মেলে দুটি বড় বানরের। বানর দুটি ছাদে লাগানো বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছের মধ্যে পাকা টমেটো ছিড়ে খাচ্ছে।

ওই বাড়ির মালিক শরীফ উদ্দিন জানান, বেশ কিছু দিন যাবত একাধিক বানর ভূরুঙ্গামারীতে ঘুরাঘুরি করছে। তারা কখনো এক জায়গায় স্থির থাকে না। এবাড়ির ছাদ থেকে অন‍্য বাড়ি। আর এক গাছ থেকে অন‍্য গাছে জুটে চলছে। আজ সকালে আমার বাড়ির ছাদে এসে ২টি বানর গাছের পাকা টমেটো খেয়েছে। বানরের ছুটাছুটি দেখতে ভালো লাগলেও বাচ্চাদের নিয়ে ভয় হয়। যদি কখনো কামড় বা আছর দেয়।

ভূরুঙ্গামারী কলেজ মোড়ের ঔষধ ব‍্যবসায়ী আল আমিন জানান, তার ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনে একটি পেঁপে গাছ আছে। বড় বড় পেঁপে পাকার সাথে সাথে বানর এসে খেয়ে ফেলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ, রফিক ও সুমন জানান, বেশ কিছু দিন থেকে উপজেলা পরিষদের চার পাশে দুটি বানর দেখতে পাচ্ছি। বাগভান্ডার রোডে তিনটি হোটেলের আশপাশে এরা খাবারের জন‍্য বেশি অবস্থান করে।

কুড়িগ্রাম জেলা সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ রাশিদ আরিফ বলেন, কুড়িগ্রামে আশপাশে বড় বন না থাকায় এ অঞ্চলে বানর আসার সুযোগ নেই। তবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে বানর গুলো আসতে পারে। এ বানরগুলো কোথাও স্থির থাকে না। একটু পর পর স্থান বদল করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখছি।