ভূরুঙ্গামারীতে নদ-নদীর পানি বাড়ায় বোয়াল মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে শিকারিরা

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে দুধকুমার নদের বিভিন্ন জায়গায় ও ডুবো চরে বোয়াল মাছ ধরা পড়ছে। বিভিন্ন জাল, বরশি ও খোঁচা দিয়ে বোয়াল মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেছেন সৌখিন মাছ শিকারিরা। কখনো একা আবার কখনো দল বেধে বোয়াল মাছ শিকারের জন‍্য নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সারা বছর নদীতে তেমন পানি না থাকায় বোয়াল মাছ পাওয়া যায় না। তাই প্রতিবছর বর্ষায় নদীতে পানি বাড়লে বোয়াল মাছ শিকারের উৎসব জমে। অনেক বড় মাছও ধরা পড়ে সৌখিন মাছ শিকারিদের হাতে।

বুধবার (২১ জুন) সকালে উপজেলার পাইকডাঙ্গা গ্রামের জনৈক এক ব‍্যক্তির নরকা বরশিতে সাড়ে সাত কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়ে।

এর আগে গত সোমবার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম, আমির হোসেন ও রফিকুলসহ কয়েকজন সৌখিন মাছ শিকারি একসাথে বাঁশের জুইত‍্যা (খোঁচা) দিয়ে দুধকুমার নদে মাছ শিকার করতে যান। এসময় তারা ৩টি বোয়াল মাছ ধরেন। মাছ তিনটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি বলে তারা জানান। মাছ তিনটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
সৌখিন মাছ শিকারি শফিকুল ইসলাম এর ছেলে আরিফুল ইসলাম ফারুক জানান, বন‍্যায় পানি আসলেই আমার বাবা তাঁর বন্ধুদের নিয়ে বোয়াল মাছ শিকারে বের হন। কেউ মাছ না পেলেও আমার বাবা ঠিকই বোয়াল মাছ ধরে আনেন। সেদিন যে তিনটি বোয়াল মাছ শিকার করেছেন সেগুলো কেটে সবাই মিলে ভাগ করে নিয়েছে।

অপর এক সৌখিন মাছ শিকারি ফরিদুল ইসলাম বলেন, পানি বাড়লেই আমরা দুধকমার নদের বিভিন্ন জায়গায় মাছ শিকার করতে যাই। রাতে টচ লাইট জ্বালিয়ে খোঁচা দিয়ে মাছ ধরি। গত রোববার আমার এক বন্ধুসহ দুটি বোয়াল মাছ ধরেছি। প্রতিদিন কেউ না কেউ নদী থেকে বোয়াল মাছ শিকার করছে। পানি চলে গেলে এ মাছ আর পাওয়া যাবে না।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, বোয়াল মাছ মূলত গভীর পানির মাছ। এই সময়টা মাছের ডিম দেয়ার সময়। এ কারণেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অনেক স্থানে ছোটাছুটি করছে। বোয়ালমাছ ধরা যাবে, তবে আইনত নিষিদ্ধ থাকায় বাঘাআইর মাছ ধরা যাবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।