মঠবাড়িয়ায় ডিসিআর নিয়ে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য, অডিও ফাঁস!

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আসাদ উল্ল্যাহ ভূমি অফিসকে ঘুষ বানিজ্যের অভয়ারণ্যে পরিনত করেছেন। ডিসিআর পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ দাবি করায় এসিল্যান্ড অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আতিক নামে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আতিককে ডিসিআর পেতে ৫ লক্ষ টাকার ঘুষ দাবির অডিও ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা বাজারে মক্কা ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর মোঃ আতিকুল ইসলাম ঘর ভাড়া নিয়ে ৩ বছর আগে ওষুধের দোকান চালু করেন।ডিসিআর সূত্রে ওই ঘরের মালিক স্হানীয় মিজানুর রহমান বাবু।

মিজানুর রহমান বাবু ঢাকায় থাকায় এই সুযোগে ওই ভিটিটি ডিসিআর নিতে একটি পক্ষ সক্রিয় হয়।তারা সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মিজানুর রহমান বাবুর ডিসিআর সংক্রান্ত নথি গায়েব করে। বাবু রাজস্ব দিতে গিয়ে নথি না থাকায় বারবার হয়রানি হয়।

এদিকে সুযোগবাদী সক্রিয় চক্রটি স্হানীয় তহশিলদার ও মঠবাড়িয়া ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আসাদ উল্ল্যাহ’র যোগসাজশে আতিকের দখলে থাকা ভিটিটির ডিসিআর কেটে ফেলে।ভিটি কেস নং-০৪ (এম) ২০২০-২১।

ডিসিআর কাটার পর আতিককে চলমান ওষুধের দোকান গুছিয়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ আসতে থাকে।আর এ চাপ প্রয়োগে প্রকাশ্যে আসে সার্ভেয়ার, অবৈধ ডিসিআরধারী এবং স্হানীয় কিছু প্রভাবশালী।একপর্যায়ে গায়েরজোরে দোকানটি তালা মেরে আটকে দেয় তারা।

এদিকে ওই ভিটির তালা খুলতে মরিয়া হয়ে ওঠে ওষুধ ব্যবসায়ী আতিক।সে ধানিসাফা ইউনিয়নের বড় শৌলা গ্রামের মালেক মাওলানার ছেলে। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সার্ভেয়ারের কথামত ঘুষ নিয়ে আসে।ঘুষ লেনদেনের সময় পরিবেশ প্রতিকুল হওয়ায় সার্ভেয়ার নিজে সেফ থাকার জন্য কৌশলে আতিককে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার আসাদ উল্ল্যাহকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি।

মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, সার্ভেয়ার আসাদ উল্ল্যাহ’র ঘুষ লেনদেনের অডিও রেকর্ড হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।