মরুভূমির এক হীরকখণ্ড এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম

সূর্যের আলো স্টেডিয়ামটিতে পড়লে ঝককম করে ওঠে পুরো রাইয়ান শহর। নৈসর্গিক রূপ প্রতিফলিত হয় শহরজুড়ে। নির্মাণশৈলী এবং নকশার খাতিরে এটিকে ডায়মন্ড ইন ডেজার্ট নামেও ডাকা হয়। অর্থাৎ, মরুভূমির হীরা। পাখির চোখে তাকালে মনে হবে মরুভূমির মাঝে বসানো একটি হীরকখণ্ড।

স্টেডিয়ামটার নামও ডায়মন্ড ইন ডেজার্ট হওয়া ছিল যুক্তিযুক্ত। কিন্তু না, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামটির নাম এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। রাইয়ানের যে অংশটায় অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে করে নাম দেয়া হয়েছে এডুকেশন সিটি, তার মাঝেই তৈরি করা হয়েছে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। এর আরও একটি নাম রয়েছে। কাতার ফাউন্ডেশন স্টেডিয়াম।

মূলত দোহার পশ্চিমাঞ্চলে আল-রাইয়ান শহরের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। কাতার ফাউন্ডেশনের এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এডুকেশন সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও সুযোগ-সুবিধা। স্টেডিয়ামটির সন্নিকটে আছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, মিউজিয়াম ও সুবিশাল অফিস বিল্ডিং। সেন্ট্রাল দোহার ১৪ কিলোমিটার দূরের ভেন্যুটির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। রয়েছে অত্যাধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা রয়েছে। স্টেডিয়ামটিতে গ্রুপ পর্বের ৬টি, শেষ ১৬ ও কোয়ার্টার ফাইনালের একটি করে সর্বমোট ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উন্মুক্ত থাকবে স্টুডেন্ট অ্যাথলেটদের জন্যও। যে কারণে ধারণক্ষমতাও অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামটি প্রথম নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০৩ সালে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৬ সালে নতুন করে এর সংস্কার কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে করোনার সময়ে নতুনভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে করোনায় ফ্রন্টলাইন কর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম বলার কারণ হচ্ছে, এখানে ২০ শতাংশ সবুজ কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়েছে। কাতারের ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্যের সঙ্গেও মিশে গেছে স্টেডিয়ামটির অত্যাধুনিক নকশা।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে যে সব খেলা
গ্রুপ পর্ব১. ২২ নভেম্বর, গ্রুপ ‘ডি’, ডেনমার্ক-তিউনিসিয়া, সন্ধ্যা ৭ টা২. ২৪ নভেম্বর, গ্রুপ ‘এইচ’, উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়া, সন্ধ্যা ৭ টা৩. ২৬ নভেম্বর, গ্রুপ ‘সি’, পোল্যান্ড-সৌদি আরব, সন্ধ্যা ৭ টা৪. ২৮ নভেম্বর, গ্রুপ ‘এইচ’, দক্ষিণ কোরিয়া-ঘানা, সন্ধ্যা ৭ টা৫. ৩০ নভেম্বর, গ্রুপ ‘ডি’, তিউনিসিয়া-ফ্রান্স, রাত ৯ টা৬. ২ ডিসেম্বর, গ্রুপ ‘এইচ’, দক্ষিণ কোরিয়া-পর্তুগাল, রাত ৯ টা
দ্বিতীয় রাউন্ড ৮. ৬ ডিসেম্বর, এফ-১ : ই-২, রাত ৯টা
কোয়ার্টার ফাইনাল ৯. ৯ ডিসেম্বর।