মাদারীপুরে কালকিনিতে সরকারি হাসপাতালের রোগী নিয়ে দুই ক্লিনিক কর্মীদের মারামারি

মাদারীপুরের কালকিনিতে সরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা একাধিক ক্লিনিক ও ডায়গস্টিক সেন্টার গুলিতে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য একাধিক দালাল নিযুক্ত করা হয়েছে।

বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে রোগীদেরকে ক্লিনিক ও ডায়নস্টিক সেন্টারে যেতে বাধ্য করে এসব দালাল চক্র। প্রতিনিয়ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগি ও তার স্বজনরা ক্লিনিক মালিকদের নিয়োগকৃত পুরুষ ও নারী কর্মীদের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে।
এমনকি ক্লিনিকের নিয়োগকৃত দালালদের মধ্যে রোগী ভাগিয়ে নিতে গিয়ে মাঝে মাঝে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামেন সকালে রোগী ভাগিয়ে নিতে গিয়ে দুই নারী মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মুহুর্তের মধ্যেই সেই ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিও দেখে জানা যায়, কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই গড়ে উঠা হাওলাদার ডায়গস্টিক সেন্টারের কর্মী হেলেনা বেগম এবং পার্শবর্তী আল মদিনা ডায়গন্টিক সেন্টার নারী কর্মী রোজিনা বেগম নামের এই দুই নারী ক্লিনিক কর্মীকে মারামারিতে জড়িয়ে পড়তে। এসময় জুতা পেটার ঘটনাও ঘটেছে। আর এ ঘটনা মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকে ওই দুই নারী ক্লিনিক কর্মী গা ঢাকা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগী জানান, ক্লিনিক মালিকরা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কেউ কিছু করতে পারে না। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসা চালাচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালের নিকটবর্তী স্থানে কোন ক্লিনিক ও ডায়াগস্টিক সেন্টার স্থাপন করার বিধান নেই।

এব্যাপারে দুই ক্লিনিক মালিকদের দাবি তাদের কোন কর্মী নেই। তারা এই ধরনের কোন কর্মী রাখেননি বলে জানান।

এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি। আমরা দ্রুত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।