মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে চলছে রাস্তা নির্মাণ কাজ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা পুলিশ বক্স সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ পাশ থেকে জামিত্তার্ ইউনিয়নের বকচর মেরিন রিসোর্ট পর্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে চলছে রাস্তার নির্মাণ কাজ।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩ কিলোমিটারের এ রাস্তাটির নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। স্থানীয় প্রভাবশালী আবু সাঈদের মালিকানাধীন “নির্মাণ প্রকৌশলী” নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ওই রাস্তার কাজ শুরু করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন, বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে জানা যায়, শুরুতেই নিম্নমানের (রাবিশ) ইটের খোয়া ব্যবহার করে চলছে রাস্তা নির্মাণের কাজ। স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু দিয়ে রাস্তার বেশ কিছু স্থান ঢেকে ফেলে নির্মাণ শ্রমিকরা। তার আগেই একাধিক স্থানে নিম্নমানের খোয়া বিছানো কাজের ছবি তোলা হয়।

পুলিশ বক্স হতে বকচর মেরিন রিসোর্ট পর্যন্ত সড়কের চলমান নির্মাণ কাজে লাগানো হয়নি স্কীম তথ্যবোর্ড। এতে তথ্য সংগ্রহ করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সংবাদ কর্মীদের। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “নির্মাণ প্রকৌশলীর” স্বত্ত্বাধিকারী আবু সাঈদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এর আগে উপজেলার জামশা ইউনিয়নের আব্দুল ফকিরের বাড়ি থেকে বলধারা ইউনিয়নের বড় কালিয়াকৈর (বাঙ্গালা বাজার) পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজেও নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহার করায় এলাকাবাসীর বাধাঁর মুখে পড়েন ঠিকাদার আবু সাঈদ। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে স্বচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে রাবিশ ইটের খোয়া সরিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশল অফিসে গিয়ে ওই রাস্তার কাজের সুপারভিশন অফিসার উপ—সহকারী প্রকৌশলী মো. মহাবুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইল ফোনে তথ্য চাইলে তিনি নানা অজুহাতে তালবাহানা করতে থাকেন। তিনি এক পর্যায়ে বলেন, আমি খবর শুনে সকালেই স্পটে গিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে দিয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক বাতার্ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি যতটুকু জানি ভাল মালামাল দিয়েই কাজ হচ্ছে। তার পরেও বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।