মানুষ এতটা খারাপ হতে পারে : খালাসের পর নেইমার

গত মে মাসে প্যারিসে নাহিলা ত্রিনদাদে নামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ব্রাজিল তারকা নেইমারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এটা অস্বীকার করে নেইমার বলেন, ঘটনাটি ‘সাজানো’ আর অভিযোগকারী নারীর সম্মতিতেই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল।

নেইমারের বাবাও দাবি করেছিলেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সে নারীর আইনজীবী এখন নেইমারকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছেন। এরপর ওই তরুণীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন নেইমার। যদিও শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেলেন তিনি।

পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে নেইমারের বিপক্ষে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দিয়েছে ব্রাজিলের আদালত। এর আগে গত জুলাইয়ে নেইমারের বিপক্ষে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দিয়েছিল সাও পাওলো পুলিশ।

এবার গত পরশু পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর সোশ্যাল সাইট ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ব্রাজিল সুপারস্টার জানিয়েছেন তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেছেন, জীবনে কখনো এই ঘটনা ভুলতে পারবেন না।

নেইমার লিখেছেন, ‘এটি আমার জীবনের এমন এক অধ্যায় হয়ে থাকবে যা কখনো ভুলতে পারব না। এর অনেক কারণ আছে। প্রধান কারণটা হলো, আমার এবং আমার পরিবার আর পরিচিতজনদের মানসিক ক্ষতি। এখন থেকে সচেতন থাকব, এটা বলব না যে খুশি হয়েছি কিন্তু স্বস্তি লাগছে। তবে ক্ষতটা থাকবে। যাতে আমি মনে রাখতে পারব, মানুষ কতটা খারাপ হতে পারে!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ওই সময়টুকুতে আমার সবকিছু ভেঙে পড়েছিল। তবে একটি জুজুৎসু প্রবাদ আছে ভেঙে পড়াটা অনেকের কাছে সবকিছুর শেষ তবে আমাদের জন্য এটা কেবল শুরু।’ এটা শুধু আমার জন্য নয়; বরং এমন মিথ্যা অভিযোগে ভুক্তভোগীদের জন্যও নতুন দৃষ্টান্ত। আর বিশেষ করে সেসব নারীদের জন্য ইতবাচক হোক, যারা সত্যিকার অর্থে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন। সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।