মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানীর টাকায় সড়ক সংস্কার
টাঙ্গাইলের সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের পৌরসভার মুখতার ফোয়ারা চত্বর থেকে খাদ্যগুদাম পর্যন্ত ৫০০ মিটার সড়কে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় সংস্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১২ জন কাউন্সিলর তাদের প্রাপ্য সম্মানী থেকে টাকা উত্তোলন করে এ অনুপযোগী সড়কটির সংস্কার করেন। এতে করে ওই সড়কের আশপাশের ব্যবসায়ীসহ চলাচলকারীরা খুব সন্তুষ্ট হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংস্কারের অভাবে সখীপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি প্রায় তিন মাস ধরে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি পথচারীরাও স্বাভাবিকভাবে এ সড়কে হেঁটে চলাচল করতে পারছিলেন না। এতে করে ওই সড়কের আশপাশের কয়েকশ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন পর হলেও সখীপুর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা তাদের ব্যক্তিগত সম্মানীর টাকা থেকে সড়কটির সংস্কারকাজ করায় ওই সড়কের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক উপকৃত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. শামীম আল মামুন বলেন, সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দের কারণে গত তিন মাস ধরে আমাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ। ক্রেতারা না আসায় আমরা লোকসানে পড়েছি। সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেও কোনো ফল হয়নি। অবশেষে মেয়র ও কাউন্সিলররা সড়কটি সংস্কার করে দিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছেন।
সখীপুর পৌরসভার প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, পৌরসভা খেকে এলজিইডির সড়ক সংস্কারের বিধান না থাকায় মেয়র, আমার ও কাউন্সিলরদের বেতনের টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ব্যক্তিগতভাবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কাজি ফাহাদ কুদ্দুস বলেন, এলজিইডির সড়কে পৌরসভার কাজ করার বিধান না থাকলেও প্রাথমিক সংস্কারের কাজ করায় তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে সড়কটি পূর্ণাঙ্গ নির্মাণে আরসিসি ঢালাইলের জন্য অনুমোদন হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সখীপুর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দূর-দূরান্তের যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা ভেবেই আমরা সড়কটি প্রাথমিক চলাচলের উপযোগী করার এই উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে এখন আর দুর্ভোগে পড়তে হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন