গাজীপুরে হাসান সরকারের নামে রাস্তা করবেন মেয়র জাহাঙ্গীর

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে পরাজিত মেয়ার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসানউদ্দিন সরকারের নামে রাস্তা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।

বুধবার হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার একপর্যায়ে নতুন মেয়র তার ইচ্ছার কাথা জানান।

তিনি বলেন, হাসান উদ্দিন সরকার যেহেতু একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামে একটি রাস্তা করতে চাই। অপোজিট পার্টিকে সম্মান দিয়ে সিটি কর্পোরেশন চালাতে চাই।’

নির্বাচনের ৮ দিন পর বুধবার দুপুরে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার প্রতিষ্ঠিত টঙ্গীর মরহুম আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যান জাহাঙ্গীর আলম। নতুন মেয়র আসবেন এমন সংবাদ শুনে আগে থেকেই নিজের প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন হাসান সরকার।

জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত দলীয় কিছু কাউন্সিলর নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। গিয়েই তিনি হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এ সময় কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন।

জাহাঙ্গীর আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনে হাসান উদ্দিন সরকারের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই মিলেমিশে এ নগরীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সবাই হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ রেখে একসঙ্গে উন্নয়ন কাজ করে যাব। আমরা একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে চাই; যেখানে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পরাজিত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘সব ভালো কাজে আমি জাহাঙ্গীর আলমকে সাহায্য করব, সহযোগিতা করব। আমি আশা করব নতুন মেয়র তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। লোক দেখানো ফটোসেশন নয়, এখানে আসা তখনই অর্থবহ হবে, যখন যা বলবেন, তা করবেন।’

জাহাঙ্গীর আলমকে সময় সম্পর্কে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে সরকার বলেন, ‘এ বয়সে সময়কে মূল্য দিতে হবে। সময় সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে। এটা করতে পারলে কাজে কখনও পেছনে পড়বেন না। তা না হলে পেছনে পড়ে যাবেন।’

হাসান সরকার আরও বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নবনির্বাচিত মেয়রকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেধা ও যোগ্যতার দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যেন প্রতিভাকে মূল্যায়ন করা হয়।’ পরে হাসান সরকার জাহাঙ্গীর আলমের মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেন।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘গাজীপুরকে ক্লিন ও গ্রিনসিটি করতে যা যা করা দরকার তা করতে চাই। এজন্য মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সহযোগিতা চাই। পরিকল্পিত শহর গড়তে আমি সবার কাছে যাব।’

তিনি বলেন, ‘শুধু পার্টির লোক নয়, সব ধর্মের মানুষ, সব মানুষ এখানে নিরাপদ থাকবেন। সিটি কর্পোরেশন হবে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। নাগরিকরা স্বাধীনভাবে বসবাস করবেন। এজন্য যা যা দরকার তা করতেই আমি নিজেকে তৈরি করেছি।’