মেয়ের সিজারে অর্থাভাব : যশোরের শার্শার সেই অসহায় পিতার পাশে পুলিশ

যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের অসহায় দীনমজুর ফজলুর রহমানের অন্তসত্বা মেজ মেয়ে সোনিয়া খাতুনের মাতৃত্বকালীন সময়ের যাবতীয় দায়িত্ব নিলো শার্শা থানা পুলিশ।

শার্শা থানা পুলিশের প্রতিনিধি বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে দীন মজুর ফজলুর রহমানের বাড়ীতে আসেন।

তিনি পরিবারের সাথে কথা বলেন ও পুলিশের তত্ববধানে সোনিয়াকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ক্লিনিকে নিয়ে যান।

তিনি জানান, ‘মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর এ পর্যন্ত পরিবারটি ৭ হাজার টাকার মত আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। আরো পেতে পারেন। পুলিশের পক্ষে আমরা মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছি। তার সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তার সার্বিক সহযোগিতা আমরা দেবো।’

এসময় সেখানে স্থানীয় মেম্বর হবিবর রহমান, শহীদ কাজী, সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১০মাসের গর্ভবতী মেয়ের সিজারিয়ান অপারেশন করার অত্যাবশকীয় হলেও দীনমজুর অসহায় পিতা পড়েন বিপাকে। টাকার অভাবে সন্তানের ভূমিষ্ট হওয়ার অপারেশনও যেনো থমকে যায়। বিষয়টি নিয়ে কলারোয়া নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অসহায় পিতা ফজলুর রহমানের আকুতি ও পরিস্থিতি নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। সর্বশেষ বিষয়টি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিফ রেজার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ও পুলিশ প্রশাসন সোনিয়ার মাতৃত্বকালীন সময়ের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহন করেন।