রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ’- এর সমাপনী উপলক্ষ্যে চারদিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে বিতর্ক প্রতিযোগিতা সকাল ১০ টায় শুরু হয়। এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর গৌরবোজ্জ্বল রাজনৈতিক এবং সংগ্রামী জীবনের কথা এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতিকে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামে যুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধু যে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তা তুলে ধরেন। এরকম বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিমÐলে অবদান রাখতে পারবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে আগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
উক্ত প্রতিযোগিতা আন্তঃস্কুল (৮ম-১০ শ্রেণি), আন্তঃকলেজ (১১শ-১২শ শ্রেণি) ও আন্তঃবিভাগ (রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়) পর্বে বিভক্ত। আন্তঃস্কুল পর্বে ‘নারীর ক্ষমতায়নই যৌতুক প্রতিরোধের মূল শক্তি’ শীর্ষক বিষয়ে প্রথম প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে পক্ষদলে বি. এল. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বিপক্ষ দলে শাহজাদপুর ইব্রাহিম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নিয়ে শাহজাদপুর ইব্রাহিম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জয়ী হয়। পরবর্তীতে ‘স্মার্টফোন নতুন প্রজন্মের অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ’ বিষয়ে সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নিয়ে সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জয়ী হয়। ‘শিল্পায়ন কৃষিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে শীর্ষক বিষয়ে পক্ষদলে রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বিপক্ষ দলে ছাইফ উদ্দিন এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নিয়ে রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জয়লাভ করে। এছাড়াও ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিই নারী ক্ষমতায়নের প্রধান অন্তরায় শীর্ষক বিষয়ে পক্ষদল রংধনু মডেল স্কুল ও বিপক্ষদল প্রভাকর বিদ্যানিকেতন অংশ নেয় এবং রংধনু মডেল স্কুল জয়লাভ করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি সার্বিক তত্ত¡বধান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও মডারেটর শারমিন সুলতানা। প্রতিযোগিতায় মডারেটর হিসেবে ছিলেন ড. তানভীর আহমেদ সিডনী, আরিফুল ইসলাম ও রিফাত-উর-রহমান। বিচারকমন্ডলীতে ছিলেন জাবেদ ইকবাল, নজরুল ইসলাম, পিংকি রানী দে, বিজন কুমার, আজিম উদ্দিন, মলিনা খাতুন, বরুণ চন্দ্র রয়, খাইরুন্নিসা ঝিলিক ও প্রশান্ত কুমার পোদ্দার।