রাজশাহী বিভাগে বেড়েছে হেলমেট পরিহিত মুখোশধারীদের হামলা

রাজশাহী বিভাগের কয়েক জেলায় বাড়ছে হেলমেট পরিহিত ও মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলা। গত দুইমাসে এ ধরনের হামলায় প্রাণ গেছে মোট তিন জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হামলার শিকার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর পরিবার মামলা করলেও এখনও রহস্য উদঘাটন হয়নি।

নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার রাতে দোকান বন্ধ করে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখা হয় তাকে। একইভাবে নলডাঙ্গার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব হোসেনকেও মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

অপরদিকে, সদর উপজেলার মাঝদিঘা মাদসারার অধ্যক্ষ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী সাইদুল ইসলামকে তুলে নেয়া হয় তার নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে। মাইক্রোবাসে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেয় হেলমেট পরিহিত ও মুখোশধারীরা। গত এক মাসে নাটোরে অনেকটা একই কায়দায় তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে রাজনীতির সাথে যুক্ত আরও ৬ নেতাকর্মীকে।

পাশের জেলা নওগাঁয় সম্প্রতি হেলমেট পরিহিত ও মুখোশধারীরা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে গত দুমাসে মুখোশধারীদের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা।

রাজশাহীতে গত মাসে একই রাতে হত্যা করা হয় দুই চিকিৎসককে। পল্লী চিকিৎসক এরশাদ আলীকে পবা উপজেলায় তার চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। পরে নগরীর সিটি হাট এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। আরেক চিকিৎসক কাজেম আলীকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। দুটি ঘটনাতেই মাইক্রোবাসে করে আসে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, এখন পর্যন্ত ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।