রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব সমর্থন যোগ্য নয় : বাংলাদেশ ন্যাপ

‘ঋণ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির’ বিশ্ব¦ব্যাংকের প্রস্তাব কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বিশ্বব্যাংকের এ ধরনের প্রস্তাব মেনে না নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

একই সাথে বাংলাদেশকে নতুন ফিলিস্তিন বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বিশ্বব্যাংকের দেয়া এই ধরনের পরামর্শের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তিগুলোকে সোচ্চার ভূমিকা রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

রবিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভ্ইুয়া এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে তাদের নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ামনারে ফেরত পাঠানো। এ ধরনের প্রস্তাবের মাধ্যামে বিশ্বব্যাংক মূলত: রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করছে। কারণ সম্মানজনকভাবে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াটাই হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার। বিশ্বব্যাংকের প্র্রস্তাবে সমর্থন দিলে তাদের সেই অধিকার ব্যাহত হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব গৃহীত হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়তে বাধ্য এবং এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো বেশী জটিল হয়ে পড়বে। বিশ্বব্যাংকের এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে এ ব্যাপারে সরকারকে তার অবস্থান দ্রুত সুস্পষ্ট করতে হবে এবং দেশের ভেতরও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তারা বলেন, বিশ্বব্যাংকের এ ধরনের প্রস্তাব মেনে নিলে আন্তর্জাতিকভাবে এবং মিয়ানমারের সঙ্গে যে দরকষাকষি চলছে সেগুলোর আর কোনো মূল্যই থাকবে না। বরং যেটি করতে হবে সেটি হলো মিয়ানমারে যে অন্তর্র্বতী সরকার আসছে তারা এ ধরনে নৃগোষ্ঠীগুলোর স্বার্থ রক্ষার কথা বলেছে। সেই সুযোগটি গ্রহণ করে তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়।

নেতৃদ্বয় বলেন, রোহিঙ্গাদের এ রকম সুবিধা দিলে একদিকে এ দেশে এমনিতেই কর্মসংস্থানের সুযোগ কম, তার ওপর রোহিঙ্গাদের কাজ করতে দিলে কি অবস্থা দাঁড়াবে। এছাড়া যারা এখনো মিয়ানমারে আছেন তারাও এ দেশে আসতে উৎসাহী হবেন। সুতরাং তাদের সম্মানজনক ফেরত পাঠানোই হচ্ছে সরকারের দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ তাদের বন্দি শিবিরে রাখেনি, তাদের আশ্রয় দিয়েছে।