রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ১

অভ্যান্তরীণ কোন্দলের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গার নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান।

পুলিশ বলছে, নিহত ও গ্রেপ্তাররা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জেরে তারা ওই ঘটনা ঘটায়।

নিহত হোসেন আলীকে (৩২) স্থানীরা চেনে ‘বাইল্ল্যা ডাকাত’ নামে। তিনি ওই শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ সালামের ছেলে।

আর গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) ও আব্দুস সালাম (৩১) একই ক্যাম্পের বাঁচা আলীর ছেলে।

ওসি রণজিত বলেন, ভোরে নয়াপাড়া ক্যাম্পে দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলির খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ আব্দুল হাকিমের সহযোগী ‘বাইল্ল্যা ডাকাতের’ গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নুরুল আলম নামের আরেক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে যায় জানিয়ে ওসি বলেন, নুরুল নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে আনসার ব্যারাকের অস্ত্র লুট মামলার আসামি। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ওই ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে রাজ্জাক ও সালামকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে রণজিত বলেন, নিজেদের কোন্দলের জেরে এক সপ্তাহ আগে ‘বাইল্ল্যা ডাকাত’ ও তার সহযোগীরা আব্দুর রাজ্জাককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সে কৌঁশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এর জেরে রাজ্জাক ও তার অনুসারীরা ভোরে বাইল্ল্যা ডাকাতের বাড়িতে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

ওসি জানান, নিহত ও গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।