লালমনিরহাটে নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

তিস্তা নদীর পানি কমলেও শুরু হয় ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষজন।এ মাসে এখন পর্যন্ত বড় বন্যা না হলেও তিস্তার পানি প্রবাহ উঠানামা করছে। গত তিনদিন আগে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজকে নেমে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যাচ্ছে। এবারে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে জেলায় দেড় শতাধিক বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে বিদ্যালয়, ক্লিনিকসহ নানা স্থাপনা।

তিস্তা পাড়ের লোকজনের দাবী লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী নাককাটির ডাঙ্গা ও শৌলমারীর চরে “ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার” কোম্পানির সৌরবিদুৎ কেন্র স্থাপনের কারনে পানির গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা ও উজানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ বিদুৎ কেন্ত্রটি স্থাপনের কারনে আবাদী জমি, অসংখ্য ঘরবাড়ি ইতোমধ্যে চলে গেছে নদীগর্ভে। বিদ্যালয়, ক্লিনিকসহ নানা স্থাপনা রয়েছে ঝুঁকিতে।বিদুৎ কেন্র নির্মাণের নামে অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত যারা তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও তিস্তা পাড়ের মানুষের।

ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের মাহাবুব হোসেন বলেন, চোখের সামনেই সবকিছু ভেসে গেল। ঘরগুলো টিন খুলে সরানো গেলেও অনেক আসবাবপত্র তিস্তায় ভেসে গেছে।

বসতভিটে হারিয়ে কয়েক বছরে শত শত পরিবার রাস্তার ধারে খোলা আকাশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারিভাবে তাদের পূর্নবাসনের আশ্বাস দেয়া হলেও তা করা হয়নি।

পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত বলেন, এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ইউনিয়নে ৬২ ঘরবাড়ি তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৩৯টি বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, উপজেলায় শতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। তবে লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মাহাবুব হোসেন এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন তালিকা পায়নি বলে জানান।