শতবর্ষী গাছ না কেটেই ‘যশোর রোড’ সম্প্রসারণের উদ্যোগ

পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের কারণে শতবর্ষী ও ঐতিহ্যবাহী গাছ না কেটেই ‘যশোর রোড’ খ্যাত যশোর- বেনাপোল মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অনুমোদন সম্পন্ন হওয়ায় অক্টোবরের শেষ নাগাদ কাজ শুরু হবে এ সড়কটির। এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করলেও রাস্তাটি চার লেন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন পরিবেশবাদীরা। একইসাথে গুরুত্ব অনুধাবন করে সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তবে অধিক লেনের বিষয়টি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

বেনাপোল স্থলবন্দরকে যশোরের সাথে সংযুক্ত করেছে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার শতবর্ষী বৃক্ষশোভিত ঐতিহাসিক যশোর রোড। গত বছর মহাসড়কের উন্নয়নে শতবর্ষী গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে, সোচ্চার হন পরিবেশবাদীরা এবং গাছ রক্ষায় শুরু করেন আন্দোলন। শেষ পর্যন্ত কালেরসাক্ষী এই গাছগুলো রেখেই যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক পুনঃনির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এডিবি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ শ’ ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮ কিলোমিটার এ সড়কটির কাজ শুরু হবে অক্টোবর মাসেই। তবে গাছ রেখেই উন্নয়নের কাজ করায় কাঙ্ক্ষিত প্রশস্ততা পাচ্ছে না সড়কটি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘প্রথমে যে প্রশস্ততার পরিকল্পনা করেছিলাম সেটা হবে না। কোথাও সাত দশমিক তিন মিটার কোথাও নয় দশমিক এক মিটার করবো।’

গাছ রক্ষায় সন্তুষ্ট হলেও সড়কটি চার লেন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বলেন, ‘বনভূমি রক্ষা করেই আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। চার লেনের রাস্তা হচ্ছে না। তারপরেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ এদিকে গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক এ মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ‘দুই লেনের পাশাপাশি আরেকটি দুইলেন তৈরি করলে আমাদের চাপ অনেক কমে যাবে।’

এদিকে অধিক লেনের বিষয়টি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। ঐতিহাসিক যশোর রোড সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১৭ সালে শতবর্ষীসহ সড়কের দু’পাশে থাকা ২ হাজার ৩১২টি রেইন্ট্রি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।