শাস্তি কমানোর আবেদন করবেন না স্মিথ

বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে দেশে ফেরার পর স্টিভেন স্মিথের কান্নাভেজা ক্ষমা প্রার্থনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আপিল করলেই হয়তো সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অর্ধেকে নেমে আসত।

কিন্তু নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত স্মিথ মানুষের সহানুভূতিকে পুঁজি করে কোনো ফায়দা লুটতে চান না। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) দেয়া শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করবেন না স্মিথ।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আবার খেলতে চান, তবে সেটা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করেই। অনুশোচনার আগুনে পুড়ে খাঁটি সোনা হয়ে ফিরতে চান।

সিএ’র দেয়া শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল না করার বিষয়টি বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন স্মিথ, ‘নিজের সবটুকু দিয়ে আমি এটা পেছনে ফেলতে চাই এবং আবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। কিন্তু আমি যা বলেছি, অধিনায়ক হিসেবে পুরো ঘটনার দায় আমার। আমি এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি না। শাস্তি কমানোর আবেদনও করব না। শাস্তির মধ্যদিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একটি কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে। আমি তা গ্রহণ করেছি।’

কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতির ঘটনায় স্মিথের মতো ডেভিড ওয়ার্নারও এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ক্যামেরন ব্যানক্রফট পেয়েছেন নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা। তিনজনেরই আজকের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট এখনও আপিলের ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত না জানালেও স্মিথ আগেভাগেই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিলেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন স্মিথ। বিশ্বকাপের মাত্র দুই মাস আগে। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতির সুযোগ পেতে স্মিথদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দিতে বোর্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন সাবেকরা।

কিন্তু স্মিথ নিজে কোনো অনুকম্পা চান না। যা ঘটেছে সেটা নিঃসন্দেহে অপরাধ। কিন্তু বল বিকৃতির দায় স্বীকারের সাহসিকতা ক’জন দেখাতে পারেন? শাস্তি মাথা পেতে নিয়ে আরেকটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন স্মিথ। এএফপি।