সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের অংশগ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সবাই মিলে একসাথে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সকলকে আরো সচেতন হতে হবে।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ইউ এস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (ইউ এস সিডিসি) এর যৌথ উদ্যোগে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’ এর অধীনে ‘মেয়র সংলাপ : নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল সিটি কর্পোরেশন তাদের অবস্থান থেকে প্রচলিত কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। অন্য বছরে বৃষ্টি শেষ হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নত হতো। এ বছরের অভিজ্ঞতা ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে। তাই কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের গবেষণাপত্র পর্যালচনা করা ও বাংলাদেশি কিটতত্ত্ববিদদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সরকার সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে। স্বাস্থ্য খাতে সেবার মান আরো উন্নত করতে হবে। নগর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি দেশব্যাপী আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যকর করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ, ইউ এস সিডিসি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুসান কায়ডোস ডেনিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।