সাতক্ষীরায় আদালতের ১৪৫ ধারা অবমাননা করে জমি দখল, স্বামীহীন অসহায় পরিবার

সাতক্ষীরায় আদালতের ১৪৫ ধারা অমান্য করে জোরপূর্বক নেট পাটা দিয়ে দখল করেছে প্রতিপক্ষ কয়েকজন সন্ত্রাসী। এছাড়া বিভিন্ন রকম হুমকি ও নানাভাবে হয়রানিতে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে এক মহিলা ও তার সন্তান।
অসহায় মহিলার স্বামী মৃত্যুর পর ও ওয়ারাশ ফাঁকি দিয়ে একক ভাবে জমি আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে গোপনে নামজারি করে নেয় ওই সুযোগ সন্ধানী প্রতিপক্ষ।
এই ঘটনা জানতে পেরে অসহায় স্ত্রী ও ছেলে দেবহাটা এসিল্যান্ড অফিসে ১৫০ ধারায় কেস রুজু করে এবং আজ সাতক্ষীরা কোটে জমি সংক্রান্ত কাজে আসে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ সুযোগ সন্ধানী ২৩ ই আগস্ট বেলা আনুমাণিক ১১ সময় কিছু ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে টাউন শ্রীপুর বাজারের কাছে বিজিপি ক্যামপের উওর সংলগ্ন মাছের চাষকৃত পুকুরে ৪ শতক জমি নেট দিয়ে জোর করে ঘিরে দিয়েছে। এখন অসহায় মহিলাটি বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে সহযোগীতার আশায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ ঐ গ্রুপটি ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী হওয়ায় মহিলাটি আশানুরুপ সহযোগীতা পাচ্ছেননা বলে জানিয়েছেন। দেবহাটা সদর ইউনিয়নের টাউনশ্রীপুর গ্রামের মৃত রবিউল ইসলাম (রবু) এর স্ত্রী সেলিনা বেগম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আমি সাতক্ষীরা কোটে আসি। এই সুযোগে প্রতিপক্ষরা আমার জমিতে, কোটের নির্দেশ ১৪৫ ধারা অমান্য করে ঘেরা ব্যাড়া দিয়েছে। আমি ও আমার দেবর মোঃ সফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা কোটে হাজিরা দিতে যাবার পর বাড়িতে এসে দেখি জমিতে কে বা কারা নেট দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। আমি পাশের লোক জনের কাছে শুনলে তারা বলে আমার সতীনের ছেলে ফারুক হোসেনের ভাড়া করা তার সৎভাই অথাৎ রবিউল ইসলামের ছেড়ে দেওয়া স্ত্রী রোকেয়া বেগমের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক ও রেজাউল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন নেট পাটা দিয়ে জমি দখল করে।
সেলিনা বেগম কর্তৃক ১৪৫ ধারা জারির পর দেবহাটা থানার পুলিশ উভয় পক্ষকে নোটিশ করে যে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থাকার নির্দেশ জারি করে এবং বলে কেউ কোন ঝামেলা করবেন না, কোর্টের মামলার রায় পেলে তার পরে জমিতে যাবেন। এখন ঐ ভাবে চুপ চাপ থাকবেন। প্রতিপক্ষরা দেবহাটা থানারকে উপেক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বর্তমানে অসহায় মহিলা সেলিনা বেগম তাদের অত্যাচার ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে পুলিশ ও বিচারিক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।