সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একদিনের ব্যবধানে এক লাফে দ্বিগুণ দাম পেঁয়াজের

এক লাফে দ্বিগুণ দাম হয়েছে পেঁয়াজের। একদিন আগেও যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা সেই পেঁয়াজ একদিন পর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। এক রাতের ব্যবধানে প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে হতবাক সাধারণ মানুষ।

সাতক্ষীরার কলারোয়া বাজারে এমন দৃশ্য শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে দেখা গিয়েছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণার খবর গণমাধ্যমে আসতে না আসতেই স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে দেশী পেঁয়াজেরও।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, শুক্রবারও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিলো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। একদিন পর শনিবার সেই পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, গতকাল এর দাম ছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

কয়েকজন বিক্রেতা জানান, শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজ পাইকারি কেজি দরে কেনা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা করে। এজন্য বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

তবে কয়েকজন পাইকরি আড়তদার দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ ও সদুত্তর না দিতে পারলেও তারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় তারাও বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন।

তবে সাধারণ ক্রেতা ও ভোক্তারা অভিযোগ করে বলছেন, ভারত‌ পেঁয়াজ রপ্তানি সাময়িক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানানো হলেও এখনো সেই পেঁয়াজের আমদানি লট বাংলাদেশে আসেনি। এখনো যে পেঁয়াজ বাজারে আছে সেগুলো আগেই আমদানি করা। তাহলে কেন এক লাফে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে? অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবিলম্বে নজরদারি অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।

তারা আরো বলছেন, যেখানে এক কেজি পেঁয়াজ কেনার দরকার সেখানে তাদের বাধ্য হয়ে আড়াইশো গ্রাম পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক আদেশে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর জানায় ভারত।