সাতক্ষীরার কুশুলিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের স্মৃতিফলক ও মুরাল উদ্বোধন

কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলক ও বিজয় কলরব ১৯৭১ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টার সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুশুলিয়া ইউনিয়নে নবনির্মিত আড়াই লক্ষ টাকা ব্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের স্মৃতিফলক ও বঙ্গবন্ধুর মুরাল উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এস, এম জগলুল হায়দার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর সভাপতিত্বে কালিগঞ্জ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাওন আহমেদ সোহাগের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) আমিনুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সুমন, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবরকবির প্রমূখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সজল মুখার্জী, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, কুশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাহাফিলারা সজল, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, যুবলীগ নেত্রী শ্যামলী রানী অধিকারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওজিহার রহমান, খান হাসানুর রহমান ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও মহিলা সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস, এম জগলুল হায়দার বলেন গরিব অসহায় মানুষের ভাতার টাকা হ্যাকারদের কবল থেকে উদ্ধার করে ওই সমস্ত দুষ্টু চক্করের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিমধ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গরীবের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। কালিগঞ্জ হতে কুশুলিয়া কৃষ্ণনগর সড়কে ১ কোটি টাকার কাজ চলমান। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই আগামীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না আনতে পারলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে। এজন্য আপনাদের নিকট আবারো আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় আনার জন্য ভোট প্রার্থনা করছি।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থেকে গরিব অসহায় মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, দুগ্ধ ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, ভিজিডি কার্ড, বিজিএফ কার্ড, টিসিবি কার্ড, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, ও গৃহ নির্মাণ। ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণ সহ কৃষকদের ন্যায্যুমূল্যে সার ও বিজ বিতরণ করে যাচ্ছে। এখন আর সারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে কৃষককে গুলিতে মরতে হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে মানুষ এখন ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় হলে দেশে উন্নয়ন হবে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা বাংলাদেশী বাঙালি জাতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য এ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।