সাতক্ষীরায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধন

সাতক্ষীরায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ মে) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি ও বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা সিপিবির সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, বারসিকের গাজী মাহিদা মিজান, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সংগঠক হাবিবুল হাসান, আমরা সাতাশের আমিনুর রহমান কাজল, ভিডিবির তরিকুল ইসলাম, মানবাধিকার সংস্থার সদস্য তামান্না খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলার নিন্ম অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ফসলের ক্ষেত ডুবে যায়। বহু বাড়ি-ঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এমনকি সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও জলাবদ্ধতা ও জলমগ্ন অবস্থা বিরাজ করে। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি ওঠে। জলাবদ্ধতায় মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। একইভাবে ষাটের দশকে নির্মিত সাতক্ষীরা উপকূল রক্ষা বাঁধের অধিকাংশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় উপকূলের মানুষও সবসময় অনিরাপদ জীবনযাপন করে। স্বাভাবিক সময়ে বেড়িবাঁধ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা থাকে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই শুরু হয় তোড়জোড়। যা এবার ঘূর্ণিঝড় অশনির সময়ও দেখা গেছে। কিন্তু এখন আর সেই তোড়জোড় নেই।

বক্তারা উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ সর্বত্র সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনের পূর্ব প্রস্তুতি দাবি জানান।

পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।