সাতক্ষীরায় ফোর মার্ডার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি ওমর ফারুক।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে তিনি এ পরিদর্শন করেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিআইডির বিশেষ এসপি আনিসুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় এডিশনাল ডিআইজি ওমর ফারুক নিহত শাহিনুর রহমানকে যে কক্ষে পা বেঁধে হত্যা করে উপুড় করে রাখা হয়েছিল এবং ২ শিশুসহ শাহিনুরের স্ত্রী সাবিনাকে যে কক্ষে হত্যা করা হয়েছিল তা পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ঘটনার প্রথমদিন যারা উপস্থিত ছিলেন সেই সব সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি বাড়ি আঙ্গিনাসহ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, একই পরিবারের ৪ সদস্যকে গভীর রাতে হত্যা মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। হত্যার রহস্য উন্মোচনে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। নিহত শাহিনুরের ছোট ভাই রায়হানুরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচন হলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এদিকে, ঘটনার প্রথমদিন উপস্থিত থাকা সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে হায়দার সাহাজীর ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন ভোররাতে নিহত শাহিনুরের ছোট ভাই রায়হানুর হঠাৎ আমার বাড়িতে যায়। তখন আমি নামাজের জন্য দাঁত ব্রাশ করছিলাম। রায়হানুর বলে বাড়িতে মারিয়া খুব কান্না কান্নাকাটি করছে। ভাই শাহিনুরের ঘরে যেন কি হয়েছে। ভাই ভাবি কেউ উত্তর দিচ্ছে না, অনেকবার ডাকাডাকি করলেও। একথা শুনে আমি ও আমার বড় ভাই শামসুর ছুটে গিয়ে দেখি ঘর তালা বদ্ধ ও চিলেকোঠার দরজা খোলা। এ অবস্থায় তালা খুলতে চাবি চাইলে দূর থেকে রায়হানুর চাবিটি দেখিয়ে দেয়। ঘরে প্রবেশ করে দেখি মা, মেয়ে ও ছেলে যে ঘরে ছিল সেটি খোলা, রুমের মেঝেতে নিহত অবস্থায় মা সাবিনা ও শিশু বাচ্চা দুটি রক্ত মাখা অবস্থায় পড়ে আছে। মারিয়া কান্নাকাটি করছে। শাহিনুর অন্য ঘরে পা বাঁধা অবস্থায় নিহত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন আমরা শিশু বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

এ সময় তিনি আরো বলেন, নিহতের ছোট ভাই রায়হানুর বা অন্য কেউ মৃতদেহে কোন কিছুতে স্পর্শ করেনি।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ হত্যাকান্ড মাদক ব্যবসা নাকি সম্পত্তির কারণে হয়েছে তা এখনো আমাদের অজানা। তবে এ হত্যাকান্ড পরিকল্পিত ভাবেই করা হয়েছে।
এ সময় তিনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি করেন।