সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রাস্তার কাজ শেষ না করায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অজ্ঞাত কারণে বন্ধ থাকা সড়ক পথ। এলাকার জনগণকে এখন বেশ দুর্ভোগে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রায় মাস ছয়েক হলো এলজিইডি’র চক খাদুলী সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রায় নয় মাস আগে এক কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল।

পাকা সড়ক নির্মাণে দীর্ঘ অংশে মাটিকাটা ও দু’পাশে ইটের গাঁথুনীর দেয়াল নির্মাণ করা হয়। উল্লাপাড়া এলজিইডি থেকে গ্রামীণ সড়ক পথের উন্নত ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চক খাদুলী কোরবানের বাড়ী ( সওজ বিভাগের পাকা সড়ক সংলগ্ন ) থেকে পাঁচ দিঘলগ্রাম ভায়া খাদুলী কবরস্থান পর্যন্ত এক কিলোমিটার দীর্ঘ পাথর ঢালাই পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ বিগত ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল শুভ উদ্বোধন করা হয়। সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম এর উদ্বোধন করেন।

এলজিইডি অফিস থেকে আরো জানা গেছে , এ সড়ক নির্মাণে ব্যায় বরাদ্দের পরিমাণ ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হলো মেসার্স কামরুন্নাহার ট্রেডার্স। উদ্বোধনের পর পরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। সড়কের দীর্ঘ অংশের মাটিকাটা ও দু’পাশে ইটের গাঁথুনীর দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এছাড়া সড়কের প্রায় আড়াইশো ফুট পাথর ঢালাই পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়।

এর পর সড়কটির নির্মাণ কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সড়কের শুরু কোরবানের বাড়ী কাছ থেকে দীর্ঘ অংশে দু’পাশে ইটের গাঁথুনীর দেয়াল নির্মাণ এবং সড়কে ধুলায় ভরপুর হয়ে আছে। এরপর প্রায় আড়াইশো ফুট সড়ক পাথর ঢালাইে পাকা করা হয়েছে। আর সড়কের পরের দীর্ঘ অংশ এখন বেশ বেহাল দশায়। সড়কের বেড তৈরীতে মাঝের মাটিকাটা ও দু’পাশে ইটের গাঁথুনীর দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।

সড়কের প্রায় পুরো অংশে উচু নিচু গর্তে ভরপুর হয়ে আছে। এমন দশায় মোটরসাইকেল, অটো রিকসাসহ অন্য যানবাহননিয়ে চলাচল বেশ দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পথচারীদের অনেকজনকে পায়ে হেটে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রতিবেদককে খাদুলী গ্রামের বসতি ক’জন পায়ে হেটে বাড়ী ফেরাকালে বলেন সহজে কোনো অটো রিকসা-ভ্যান চালক এ সড়ক পথে যাত্রী কিংবা মালামাল নিয়ে চলাচল করে থাকেন না।

আবার যাত্রী হয়ে ভ্যানে চলতে দফায় দফায় নামতে হয়। খাদুলী গ্রামের বসতি ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, সবাইকে বেশ কষ্ট করেই সড়ক পথটিতে চলতে হচ্ছে। এর নির্মাণ কাজ তাড়াতাড়ি দরকার। এতে দুর্ভোগের অবসান হবে। সড়কটির নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল বলেন খুবই কম সময়ের মধ্যে তিনি এর নির্মাণ কাজ আবার শুরু করবেন। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে।