সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ খালা এবং তার দুই ছেলেকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী নামে ১ যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ প্রদান কনেন।সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশিদুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আইয়ুব আলী তার সৎ খালা রওশন আরার বাড়িতে যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া তাঁত শ্রমিক আইয়ুব আলী রওশন আরার নিকট টাকা ধার চাইলে ধার না পেয়ে গভীর রাতে রওশন আরার ঘরে থাকা ট্রাংক খুলে টাকা চুরির চেষ্টা করে আসামী। পরে রওশন আরা ঘুমের মধ্যে নড়ে উঠলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেছেন ধারণা করে তার বুকে শিল পাথর দিয়ে আঘাত করেন আইয়ুব।

এরপর গলাটিপে তাকে হত্যা করেন। এসময় রওশন আরার পাশে ঘুমিয়ে থাকা তার তিন বছরের শিশু মাহিন কান্নাকাটি শুরু করলে তাকেও গলাটিপে হত্যা করেন আইয়ুব। তখন রওশন আরার অপর সন্তান জিহাদ জেগে উঠলে তাকেও গলাটিপে হত্যা করে ঘরের দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায় আইয়ুব। ঘটনার তিনদিন পর ১লা অক্টোবর বিকেলে নিজ ঘর থেকে সুলতান আলীর স্ত্রী রওশন আরা, তার দুই শিশু সন্তান মাহিন ও জিহাদের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন রাতেই নিহতের ভাই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বেলকুচি থানা পুলিশ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রবিবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উল্লাপাড়ার নন্দিগাঁতি গ্রাম থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করেন।

পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে আলামত উদ্ধার করা হয় এবং আইয়ুব আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে আইয়ুব আলীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মোট ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামীর উপস্থিতিতে আজ সকালে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। রায়ের পর আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।