সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে পন্যবাহী ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দু’ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করা হয়।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিএন্ডএফ’র আহবায়ক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মো. মিজানুর রহমান, আমির হামজা, দীপঙ্কর ঘোষ, আমদানি-রপ্তানিকারকদের মো. শাহানুর ইসলাম শাহীন, রইসুল ইসলাম টুকু, বিলকিস সুলতানা সাথী, রুখসানা পারভীন, শাহানুর ইসলাম শাহীন,দীপঙ্কর ঘোষ, জিএম আমির হামজা, ভোমরা স্থলবন্দর কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, লেবার সংগঠনের মধ্যে রেজিং নং- ১৭২২ সভাপতি মো. সামছুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন, রেজিং নং-১৯৬৪ সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল ইসলাম, রেজিং নং-১১৫৯ সভাপতি মো. এরশাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, রেজিং নং-১১৫৫ সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ আলী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী নাজমুল আলম মিলন, আনসার আলীসহ কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় কাস্টমস্ শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। যা প্রতি পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার ফলে, বাংলাদেশী আমদানীকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যেজন্য ভারত থেকে আনা আমদানিজাত পণ্যের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরা এ বন্দর ত্যাগ করছে। যায় ফলে, ভোমরা স্থলবন্দর থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই চাঁদাবাজি বন্ধের কোন বিকল্প নেই। তা না হলে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনটি আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, এই চাঁদাবাজী যদি বন্ধ না হয় তাহলে ৩০ জানুয়ারি তিনঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩১ জানুয়ারি চারঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন। এছাড়া হয় আগামী ১ ফেব্রুয়ারী থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবো।