সুনামগঞ্জে টাকা ছিনতাই ও হত্যার চেষ্টা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ‘একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা (১৫০০০০/-) ছিনতাই ও হত্যার চেষ্টা।

ঘটনার তারিখ ১৩/১১/২০২৩ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.০০ঘটিকায়।সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার ৩নং পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম ব্রীজের সংলগ্ন রাস্তায় চিন্তাইয়ের ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য মাজহারুল ইসলাম (শ্যামল) (৩৮) জখমী পিতা মোঃ মোতাব্বির হোসেন গ্রাম মাটিকাটা ইউনিয়ন সেলবরষ থানা ধর্মপাশা জেলা সুনামগঞ্জ।

মাজহারুল ইসলাম (শ্যামল) এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। পাইকুরাটি ইউনিয়ন এর গাছতলা বাজারে তার মৎস্য আড়ৎ রয়েছে, তিনি প্রতিদিনই অটোরিকশা করে আড়ৎ এ যান এবং সঙ্গে অনেক টাকা পয়সা থাকে তা অবশ্য সবাই জানে, ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমি প্রতিদিনের ন্যায় মৎস্য আড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটো গাড়ি যোগে রওয়ানার দিয়া ঘটনারস্তলে পৌছিলে আসামি গণ হলেন,
১/ রফিক মিয়া (২৩) পিতা দুলাল মিয়া।
২/ অন্তর মিয়া (২০) পিতা তারা মিয়া।
৩/ ফয়েজ মিয়া (২১) পিতা জজ মিয়া।
৪/ সুমন মিয়া (২২) পিতা মজিবুর।
৫/ মনি মিয়া (২৪) পিতা আঃ জলিল।
৬/ আনু মিয়া (২৭) পিতা তোতা মিয়া সহ আরও অঞ্জাত নামা ৩ থেকে ৪ জন রয়েছে।

তারা আমার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং আমার সাথে থাকা একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা (১৫০০০০/-) চিনিয়ে নেয়, আমি দিতে অমত করায় তারা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাথায় বুকে এবং পেটে আঘাত করে। এরপর তারা টাকা নিয়ে দূত ঘটনার স্থান থেকে সরে ফরে।

জখমী মাজহারুল ইসলাম বলেন আসামি গণ অত্যন্ত উগ্র, লুটেরা, সন্ত্রাস ও খারাপ প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন যাবত আসামি গণ অত্র এলাকার বিভিন্ন অসামাজিক কার্য্য কলাপ করে আসতেছে।
এমনকি অনেক সময় আসামি গণ মাদকাসক্ত হয়ে যাতায়াতের পথে বিঘ্ন ঘটায়।

আমি প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন এই যে আসামিদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি এবং সেই সাথে আমার টাকা ফেরত চাচ্ছি। এবং অদূর ভবিষ্যতে কোন ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ যেন এই সন্ত্রাসীদের থাবার শিকার না হয়।

এই বিষয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে, এবং জখমী মাজহারুল ইসলাম চিকিৎসাদীন অবস্থায় ধর্মপাশা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তদন্ত প্রক্রিয়াদীন রয়েছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দূষি দের আইনের আওতায় আনা হবে।