স্ত্রীকে জমি লিখে দিয়েই না ফেরার দেশে জোহর আলী

বিধাতার লিখন, না যায় খণ্ডন! সমাজে যেন তার স্ত্রী ভালোভাবে খেয়ে পরে জীবনযাপন করতে পারে তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীর নামে জমি দান করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বাহিরঘাট গ্রামের শতবর্ষী জোহর আলী মোল্যা।

স্ত্রী, ছয় ছেলে ও চার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি ওই গ্রামে। জোহর আলীর বয়স বেশি হওয়ায় তার চিন্তা বেড়ে যায়, তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী কীভাবে সমাজে বেঁচে থাকবে। ছেলেমেয়েরা তার মাকে যদি খেতে না দেয়, তাহলে তার কী হবে?

এর মধ্যে হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধ জোহর আলী বাদ সাধে স্ত্রীর নামে ১০ শতক জমি লিখে দেয়ার। এদিন বিকালে স্ত্রীর নামে জমি লিখে দেয়ার জন্য অভয়নগর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হন।

জোহর আলী বাড়ি থেকে ভ্যানে চড়ে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে হাজির হন জমি রেজিস্ট্রি অফিসে। ঘড়ির কাঁটায় যখন বেলা ৩টা ৩০মিনিট তখন তিনি তার স্ত্রীর নামে বাড়ির ভিটেজমির ১০ শতাংশ জমি লিখে দেন।

জমি লিখে হাসতে হাসতে সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বের হয়ে আসেন। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি সাবরেজিস্ট্রি অফিস চত্বরেই তিনি মারা যান।

এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত শত শত মানুষ হতবাক হয়ে পড়ে। পরিশেষে জোহর আলীর পরিবারের সদস্যরা কাঁদতে কাঁদতে জোহর আলী লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।