স্বামীর মঙ্গল কামনার জন্য স্ত্রী মঙ্গলসূত্র পরেন, কিন্তু এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ংকর বিপদ

প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করেছিল বারাসতের মনুয়া মজুমদার। এমনকী, স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা যাতে বানচাল না হয়ে যায়, তার জন্য খুনের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রেখেছিল মনুয়া।

একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ছোট জাগুলিয়ার বয়রা এলাকায়। প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজস করে স্বামী সাইদুল ইসলামকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল স্ত্রী রহিমা বিবি। দু’টি ঘটনাই পশ্চিমবঙ্গের।

মনুয়া বা রহিমা যদি কর্ণাটকের বাসিন্দা হতো, তাহলে হয়তো তাদের স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করতে এত কাঠখড় পোড়াতে হতো না। প্রবাল দিয়ে তৈরি মঙ্গলসূত্র পরলেই, স্বামীদের ঘোর বিপদ।

মঙ্গলবার রাত থেকে, কর্ণাটকের ৬টি জেলাতে গুজব ছড়ায় যে, স্ত্রীরা প্রবালের মঙ্গলসূত্র পরলেই স্বামীদের অমঙ্গল অবশ্যম্ভাবী। গুজব এত দ্রুত ছড়ায় যে, পরের দিন সকাল থেকে নতুন করে গুজব ছড়ায় যে, শুধু অমঙ্গলই নয়, এই মঙ্গলসূত্র পরলে স্বামীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে, মহিলারা মঙ্গলসূত্র খুলে ফেলেন।

অনেকে আবার, মঙ্গলসূত্র থেকে প্রবালের বিডসগুলি খুলে ফেলে দেন। বুধবার থেকে তাই কর্ণাটকের কোপ্পাল, চিত্রদুর্গ, বল্লরী, দাভাংগেরে এবং রাইচুর জেলা জুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে রাজ্যের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর পরিস্থিতি সামাল দিতে মহিলাদের এই ধরনের গুজবে কান দিতে না করে।-এবেলা