২৬ মার্চের আগে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক-এমপি বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজাকারদের তালিকা প্রনয়ন করা হবে। যা ইতোমধ্যে মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন হয়েছে।

তিনি বুধবার দুপুরে পাইকগাছা উপজেলার ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ ও বধ্যভুমি নির্ধারণে সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

মন্ত্রী সুবিধাভোগী অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রনয়নে জটিলতার কথা বলে আরও জানান, শহীদ ও বিরঙ্গনাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে, তবে সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে অনেক বিরঙ্গনা মা-বোনরা সেভাবে তালিকাভুক্ত হতে রাজি হচ্ছেন না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা কয়রা) এমপি মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আলীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকী, উপজেলা আলীগের সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রশীদুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, এসিল্যান্ড মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা আলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দারসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।

এর পূর্বে মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদ্বয়সহ মুক্তিযোদ্ধারা কপিলমুনিতে নবনির্মিত স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করে সকল শহীদদের প্রতিশ্রদ্ধা জানান।

এরপর মন্ত্রী ও অতিথিরা মাহমুদকাটী অনির্বান লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন।

বিকাল ৪টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কপিলমুনির সহচারী বিদ্যামন্দির এন্ড কলজে মাঠে আয়োজিত হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক-এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।