২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার ২ মামলায় চার্জ শুনানি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন উদযাপন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার মানহানির দুই মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।

কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেন ২ ডিসেম্বর।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে মামলাটি করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন ন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়ার মেট্টিক পরীক্ষার নম্বরপত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল উল্লেখ করা হয়।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার ৫টি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন উদযাপন করছেন বলে মামলায় বলা হয়।

অপরদিকে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে ও তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করেছে খালেদা জিয়া।