৮ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

আট নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে দেশের ১৩ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ওইসব জেলায় কোটিরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের ভেতরে ভারি বৃষ্টিপাতের পানি।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতির সুখবর নেই। বরং দেশের উত্তরাঞ্চলের পানি নেমে আসায় মধ্যাঞ্চল এবং নিন্ম-মধ্যাঞ্চলের নদনদী টইটম্বুর হয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার চরাঞ্চলে ইতিমধ্যে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন ও রাতের ভারি বৃষ্টিতে সারা দেশে জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে ওইসব এলাকায় শিক্ষার্থীরা সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনি। এতে প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়াও বিঘ্নিত হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বুধবার রাতে জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কেবল রাজধানীতেই ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে ১১৫ মিলিমিটার।

বুধবার ঢাকায় তেমন বৃষ্টি হয়নি। সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টায় মাত্র ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। এই কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, রাতের বৃষ্টিই ভুগিয়েছে রাজধানীবাসীকে।

দেশের নদনদীতে পানির প্রধান উৎস তিনটি নদী অববাহিকা। এগুলো হল, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, সুরমা-কুশিয়ারা বা মেঘনা এবং গঙ্গা-পদ্মা। এর মধ্যে সুরমা-কুশিয়ারায় বিপদসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে গত দু’সপ্তাহ ধরে বন্যা চলছে।

অপরদিকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানির প্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার লাখ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায় বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।