৮ বছর বয়সী শিশুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা!
গ্রেফতার হয়ে আদালতে গেল ৮ বছর বয়সী ২য় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম। তার অপরাধ, খেলতে গিয়ে বন্ধুকে আঘাত করছে সে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়ায়। ওইদিন পাশের বাড়ির বন্ধু সাথী খাতুনের সঙ্গে খেলা করছিল সিয়াম।
খেলার এক পর্যায়ে দুজনে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লে রাগান্বিত হয়ে সাথীর মুখে ইটের টুকরা ও বালু ছুড়ে মারে সিয়াম। এতে সাথীর চোখ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চোখের অবস্থা খারাপ হলে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামী আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া সাথীকে।
এ ঘটনার দুই মাস পর সিয়ামের দাদা ইনজাল কারিগরের নামে মেহেরপুরে কোর্টে মামলা করেন সাথীর বাবা দেলোয়ার হোসেন। ওই মামলায় ১৮ দিন কারাগারে থাকতে হয় সিয়ামের দাদাকে।
পরে ইনজালকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয় গাংনী থানা পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু আদালতে চার্জশিট দেয়া হয় সিয়ামের নামে।
আদালত সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। শুক্রবার রাতে আটক করা হয় শিশু সিয়ামকে। তবে ওই দিনই তাকে জামিন দেয় আদালত।
একজন শিশুর নামে চার্জশিট দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ৮ বছরের শিশু কী করে মামলার আসামি হতে পারে সে বিষয়ে বিস্মিত অনেকে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জয়েন উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকেই মামলা মোকাদ্দমায় না জড়িয়ে বিষয়টি গ্রামের বিশিষ্টজনদের ডেকে নিয়ে মীমাংসার জন্য কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমি। কিন্তু উভয়পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় ব্যর্থ হই।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদের পরেই মামলাটি দ্রুত শিশু আদালতে হস্তান্তর করা হবে। ভুলবশত এমনটি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন