বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো মেনে নিতে পরিনা : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে জাপান কেন, কোনো রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। তাদের আবারও সর্তক করা হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। মেহেরপুরের কৃষি দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক গতিশীল। এই জেলায় বছরে চারটি পর্যন্ত ফসল চাষ হয়। এখানকার কৃষকরাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর কৃষিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও উৎপাদিত ফসল রপ্তানি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ‘কৃষি প্রযুক্তি ও কৃষি ঋণ মেলা ২০২২’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ জেলার কৃষকরাই মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এজন্য মেহেরপুরের মানুষের নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হবে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি। ফলে কারো কাছে মাথা নত করা বা দেশের আত্মমর্যাদা রক্ষায় আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। তিনি বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ১২৬ এ সুস্পষ্ট বলা আছে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি যতই গলাবাজি করুক, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা। বিএনপি সহিংসতার পথ বেছে নিলে তা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। মেহেরপুর জেলা থেকে ৩ হাজা মেট্রিকটন কপি রপ্তানি হয়। আগামীতে মেহেরপুর জেলা থেকে ৩০ হাজার মেট্রিকটন কপি রপ্তানি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি ও মেহেরপুরের গাংনী আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন।

জেলা প্রশ প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রনি খাতুনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন-কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়তুল্লাহ, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক আবদুল গাফ্ফার খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কান্সিলের নির্বাহি চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম প্রমুখ।