মেহেরপুরে জেলা রেড ক্রিসেন্টের বার্ষিক সাধারণ সভা তোপের মুখে সাধারণ সম্পাদক

শনিবার ছিলো রেডক্রিসেন্ট মেহেরপুর জেলা কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা। মেহেরপুর জেলা পরিষদের হলরুমে সভা আহবান করা হয়েছিল। ৩৩১জন সদস্যর জন্য সভার রুমে ৪০টি আসন রাখা হয়েছিল।

সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন ৩১ জন। সভা শুরুর আগেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একরামুল হক হীরা কোরাম পূরণ না হওয়ায় সকলকে উপস্থিতি সই করে নাস্তার প্যাকেট নিয়ে চলে যাবার আহবান জানান। সম্পাদকের বক্তব্যে সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রশিদ হাসান খান আলো নামের এক আজীবন সদস্যসহ অন্যরা বলেন ১৯৯৭ সাল থেকে কোরাম পূরণ হচ্ছেনা।

পরিকল্পিতভাবেই প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৫০ আসনের ঘরে সভা আহবান করেন। এভাবে চলতে পারেনা। যদি সদস্যরা আসে তাহলে তাদের আসন কোথায়। কোথায় বসাবেন? দুস্থ অসহায় মানুষের বিপদে আপদে কাকে কোথায় কী সহায়তা দেয়া হয় সেসব কেন আমরা সদস্যরা জানতে পারিনা? কেন কোন বছরেই সাধারণ সভায় কোরাম পূরণ হয়না।

এসময় বিব্রতবোধ করেন- পদাধিকার বলে সভাপতি জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুস সালাম। তিনি উপস্থিত ক্ষুব্ধ সদস্যদের বক্তব্য শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে উপস্থিত সদস্যদের আশ্বস্ত করেন।

আজীবন সদস্য রশিদ হাসান খান আলো জানান- ১৯৯৬ সালে এডভোকেট একরামুল হক হীরা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর একটি বারের জন্যও আর নির্বাচন হয়নি। তিনি তার ইচ্ছেমতো সংগঠন পরিচালনা করেন।
সরকারি কর্মচারি মেহেরপুরের এক সমাজ কর্মি জানান- সভায় উপস্থিত সবার সাথে সাথে তাদের বলা হয় কোরাম পূরণ হচ্ছেনা, নাম সই করে নাস্তার প্যাকেট নিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। আন্তর্জাতিক মানের সংগঠন রেড ক্রিসেন্ট তার সুনাম নষ্ট করছে বর্তমান কমিটি।

জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট একরামুল হক হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য ৩৩১ জন। ভোটের আগে কিছু সদস্য তেরী করা হয়। তিনবছরে তারাও হারিয়ে যায়। প্রতি তিনবছর পর ভোটের বিধান আছে। কেউ নির্বাচনে অংশ না নেবার কারণেই সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়।