জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় আদালত পরিবর্তনে হাইকোর্টে খালেদা
দুদকের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বকশীবাজারে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া এ আবেদন করেন।
আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আবেদনের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই আদালতে এই মামলাটির ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও আমাদের সংশয় রয়েছে। এ কারণেই আমরা আবেদনটি করেছি।’
এই আবেদনটি আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে গত ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়েছিল। সেই খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই রিভিশন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।
দুদকের পক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন