খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আ.লীগের নির্বাচনী প্রজেক্ট : খসরু
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ‘নির্বাচনী প্রজেক্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা : প্রতিবেশীর ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর। আর আপনারা (সরকার) যদি মানুষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যান, তাহলে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে এবং অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা জেনেশুনেও সরকার সেই পথেই যাচ্ছে। কারণ তাদের আর কোনো পথ নেই।’
আমীর খসরু আরো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, সে পথে সরকার না গেলেই তাদের জন্য ভালো হবে। কারণ এ সরকার ও তাদের দল বিগত দিনে এ পথেই চলেছে। আমি তাদের বলতে চাই, সেই পিচ্ছিল পথে আর যাবেন না। সেই পিচ্ছিল পথে দয়া করে আর চলবেন না। সেই পথে চলতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বেশি মূল্য দিতে হবে।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রজেক্টের একটি অংশ। এই প্রজেক্টের কাজ হলো, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রজেক্টের আওতায় তারা অনেক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলা, জেল, মানুষকে পঙ্গু করা, এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী সৃষ্টি, সম্পদ ও ব্যবসা দখল করা এবং সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, বেগম জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখা। আর এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্যই খালেদা জিয়া বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা।’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৬০ শতাংশ ভোট কমেছে, আর বিএনপির ৪০ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এই অনুপাতটা সারা দেশে চিন্তা করেন। আমি আওয়ামী লীগের একটি আসনও জেতার কারণ দেখতে পাচ্ছি না। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের একটি আসন পাওয়ারও আর সম্ভাবনা নেই। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি শুধু জয়ী হবে না, বিশালভাবে জয়ী হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিলারা চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন