স্কুলের ভেতর দুই শিক্ষার্থীকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ১৪ বছরের স্কুলছাত্রী ও তার এক সহপাঠীকে কক্ষে আটক রেখে জোরপূর্বক নগ্ন করে ভিডিও ধারণ এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেছে তিন মাদকসেবী। ঘটনাটি শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঘটে।

তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চলছিল। পোরজনা গ্রামের প্রভাবশালী মন্টু প্রামাণিকের ছেলে নাহিদ রানা, একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাসেম ও শুকুর আলীর ছেলে আলম ওই ভিডিওটি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সরেজমিনে পোরজনা ও নন্দলালপুর এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে এসব তথ্য উঠে আসে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নন্দলালপুর গ্রামের মুদি দোকানদারের মেয়ে ও পোরজনা গ্রামের এক ছেলে পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তারা উভয়ে একসঙ্গে প্রাইভেটও পড়তো। সম্প্রতি স্কুল ছুটি হওয়ার পর সকল শিক্ষার্থীরা বাড়ি গেলেও তাদের বাড়ি যেতে কিছুটা দেরি হয়। এ সময় নাহিদ রানা, হাশেম ও আলম ক্লাসরুমে ঢুকে তাদের আটকে রেখে জোরপূর্বক নগ্ন করে। এরপর তারা ভিডিও ধারণ করে। পরে রানা ও তার সহযোগীরা মেয়েটির পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করে। নইলে ওই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল করারও হুমকি দেয় ওই তিনজন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বার বার মীমাংসার চেষ্টা করলেও এখনও তা হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলম ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও এবং রানা ও হাশেম এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে। অভিযুক্ত হাশেম ইতোমধ্যে পালিয়ে গেছে। তবে মূল পরিকল্পনাকারী নাহিদ রানা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় অবস্থান করছে এবং সকলকে ম্যানেজ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে পোরজনা ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, এ নিয়ে কোনোপক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।