ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানী দিচ্ছেন নগরবাসী
ঈদের দিন ছাড়াও জিলহজ্জ মাসের ১১ তারিখ (দ্বিতীয় দিন) এবং ১২ তারিখ (তৃতীয় দিন) দিনেও পশু জবাই করার বিধান রয়েছে ইসলামে। যার কারণে আজও বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুরবানী। কসাইয়ের অতিরিক্ত মজুরি আর কসাই সংকটের কারণেও অনেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানির জন্য বেছে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, চকবাজার, বকশিবাজার এলাকার অলিতেগলিতে কোরবানির চিত্র চোখে পড়ে। তবে ঈদের দিনের তুলনায় এর সংখ্যা কম।
ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেয়া মালিবাগ আবুল হোটেল এলাকার বাসিন্দা নাজিম আবরার বলেন, ‘আমার প্রায় ৩ মণ ওজনের গরু ঈদের দিন সকালে কেটে দেয়ার জন্য ৮ হাজার টাকা চেয়েছে কসাই। কেউ ৭ হাজার বলেছে। তাই আমি এত টাকা খরচ না করে আজ কোরবানির সিদ্ধান্ত নেই।’
বংশাল এলাকার বাসিন্দা জামাল হায়দার বলেন, ‘অনেকটা ইচ্ছে করেই ঈদের পরের দিন কোরবানি করা। আমরা পুরান ঢাকার মানুষ ঈদের দিনটা নামাজ পড়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দের সময় কাটাই। দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি করে আনন্দ ধরে রাখি।’
সালাম সিকদার নামে নবাবপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘গতকাল কসাই পাইনি। একজন আসবে আসবে বলেও আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই আজ কোরবানি করছি।’
রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ। ৭ বছর ধরে থাকেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। তাকে তার কোম্পানি ছুটি দিয়েছে সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে। রাতেই মালিন্দো এয়ারলাইন্সে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। নিজের উপার্জনের টাকায় দেয়া কোরবানি তাই চোখের সামনে করবেন। আর এই কারণে তার স্ত্রী ঈদের দিনের পরিবর্তে পরবর্তী দিন মঙ্গলবারকে বেছে নিয়েছেন তাদের কোরবানির পশুটি জবাইয়ের জন্য।’
এদিকে আজ যারা পশু কোরবানি দিচ্ছেন তাদের বর্জ্য অপসারণে সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তবে অনেক বাসিন্দাকেই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা গেছে। আর কোথাও আংশিক বর্জ্য থাকলে তা সিটি কর্পোরেশন থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে গতকালের মতো আজও সিটি কর্পোরেশনের পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থানে কোনো পশু কোরবানির চিত্র দেখা যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন