চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ফাইনালে খুলনা
লিগপর্বে ২ বারের দেখায় ২ বারই গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে হেরেছিল জেমকন খুলনা। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আর মাশরাফী-সাকিব-রিয়াদদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারলোনা লিটন-সৌম্য-মিঠুনদের চট্টগ্রাম।
কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম দল হিসেবে আসরের ফাইনালে পা রাখলো খুলনা।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুলনা সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ২১০ রান। জবাব দিতে নেমে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত শুরু খুলনার। জহুরুল অমি আর জাকির হাসানের জুটিতে আসে ৭১ রান। ২২ বলে ১৬ রান করে আউট হন জাকির।
অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন জহুরুল। ৫১ বলে ৮০ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি।
১২ বলে ২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইমরুল কায়েসও। আসরে প্রথমবারের মতো বড় ইনিংস খেলার আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হলে থামে সেটি। তার আগে খেলেছেন ১৫ বলে ২৮ রানের একটি ইনিংস।
মাত্র ৯ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস এসেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। ৯ বলে ১৫ রান করেন আরিফুল হক।
সবার এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বড় একটা সংগ্রহ পেয়েছেন খুলনা। চট্টগ্রামকে দিয়েছে ২১১ রানের টার্গেট।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মাশরাফীর বোলিং তোপে পড়ে চট্টগ্রাম। প্রথম ওভারেই হারায় ইনফর্ম সৌম্য সরকারকে।
ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। তাকেও থামিয়েছেন মাশরাফী। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
৩য় উইকেটে জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক মিঠুন। তাদের ৭৩ রানের জুটিও ভাঙেন মাশরাফী। ৩১ রান করে আউট হন জয়।
মিঠুন তুলে নেন আসরে নিজের ১ম ফিফটি। চেষ্টা করেছিলেন দলকে এগিয়ে নিতে। ৩৫ বলে তার ৫৩ রানের ইনিংসটা থামিয়েছেন আরিফুল।
এরপর মোসাদ্দেক সৈকত, শামসুর রহমান শুভ কিংবা সৈকত আলীরা পারেননি দলের হাল ধরতে। ফলে জয় থেকে ৪৭ রান দূরে থাকতে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাশরাফী।
এই জয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেল জেমকন খুলনা। অন্যদিকে হেরে যাওয়া চট্টগ্রাম খেলবে এলিমিনেটরে জয় পাওয়া বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন