যশোরের মণিরামপুরে বাগডোব মাঠে বিষ দিয়ে কবুতর হত্যার অভিযোগ

ফসল খেতে বিষ দিয়ে ২৮টি কবুতর ও ২টি ঘুঘু হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের বাগডোব মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কবুতর মালিকদের অভিযোগে জানাগেছে, কোনো কিছু না জানিয়ে রোহিতার শেখপাড়া গ্রামের কৃষক শিমুল হোসেন সরিষা বুনার সময় বীজের সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন।
এতে কোদলাপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ১৮টা, বাগডোব গ্রামের আইউব হোসেনের ৮টি ও আলমগীর হোসেনের ২টি কবুতর মারা গেছে। একই সাথে বিষ মিশানো দানা খেয়ে দুটি ঘুঘু মারা গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে খবর পেয়ে রোহিতা ইউনিয়নের রোহিতা, কোদলাপাড়া ও বাগডোব ওয়ার্ডের তিনজন ইউপি সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি নেক্কারজনক বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কবুতর মালিক জয়নাল আবেদনী বলেন, সখ করে ২৫টা কবুতর পালন করেছিলাম। শনিবার সকালে ছাড়া পেয়ে কবুতরগুলো উড়ে মাঠের দিকে যায়। বিকেলে দুটো কবুতর বাড়ি ফিরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। দ্রুত ওদের জবাই করে দিই। বাকি কবুতর বাড়ি না ফেরায় মাঠে যেয়ে দেখি একটি খেতে আমার ১৬টি কবুতর মরে পড়ে আছে।

জয়নাল আবেদীন দাবি করেন, শেখপাড়া গ্রামের শিমুল নামের এক কৃষক শনিবার সকালে জমিতে সরিষার বীজ বুনেছেন। তিনি বীজের সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিষ মিশানোর বিষয়ে তাঁদের কাউকে কিছু জানাননি।

জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষ মিশানো সরিষা খেতে কবুতর যাওয়ায় আমার ১৮টি, খেতের পাশের বাড়ির আইউব হোসেনের ৮টি ও আলমগীর হোসেনের ২টি কবুতর মারা গেছে। এছাড়া দুইটি ঘুঘু মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।

কোদলাপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটি নেক্কারজনক। শিমুলের বাড়ি মেহেদী মেম্বরের ওয়ার্ডে। তিনি ঘটনাস্থলে এসে সব দেখে গেছেন। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।

রোহিতা চার নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, মানুষ সখের বসে কবুতর পালন করেন। এভাবে খেতে বিষ দিয়ে এতগুলো পাখি হত্যা করা ঠিক না। আমি শিমুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের সহকারী ইনচার্জ এএসআই মিলন হোসেন বলেন, ঘটনা আমরা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কবুতর মালিকদের একটা অভিযোগ দিতে বলেছি।