পদ্মাসেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
স্বপ্নের পদ্মাসেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে যেতে চান এমনই দাবী নিয়ে পদ্মার মাওয়া প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফেসবুক গ্রুপ- “পদ্মা সেতুতে বাইক চালুর দাবী জানাই” নামের একটি সংগঠনের শান্তিপুর্ন মানববন্ধন কর্মসূচি।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তের চৌরাস্তা গোল চত্বরে বিভিন্ন গ্রুপের বাইকারসরা একত্রিত হতে থাকেন। এসময় স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে দাঁড়ায় মানববন্ধনকারীরা।
এদিকে গ্রুপের এডমিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে, মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট মানবিক দিক বিবেচনা করে নির্দিষ্ট নিয়ম করে হলেও পদ্মাসেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনীত দাবি জানান।
এসময় গ্রুপের সদস্য মোঃ হারুন মিয়া আওয়ার নিউজকে জানান, পদ্মাসেতু খুলে দেওয়া হয়েছে ৫ মাস। প্রতিদিন ৫ হাজার বাইকার যদি সেতু দিয়ে পার হয় তাহলে ৫ লক্ষ টাকা টোল আদায় হয়। তাহলে এই ৫ মাসে ২.৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতো। আজ সরকার সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, যদি বাইক নিয়ে সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারতেন। তাহলে বাড়ী থেকে প্রতিদিন তিনি ঢাকার আব্দুল্লাহপুর গিয়ে অফিস করতে পারতেন।
গ্রুপের অপর সদস্য ইমরান নামের একজন বাইকার ও কর্মজীবী জানান, আমার বাড়ী মাদারীপুরে চাকুরী করি ঢাকাতে। যদি আমি মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মাসেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারতাম। তাহলে আমার ঢাকাতে অতিরিক্ত খরচ করে বাসা ভাড়া দিয়ে থাকা লাগতো না। সেক্ষেত্রে সেতুর সুবিধা থেকে আমি বঞ্চিত হচ্ছি। তিনি আরোও বলেন, মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলা সেটা সমাধান নয়। বরং নিয়ম করে সেটার পরিত্রাণ দেওয়াই সমীচীন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চাতক পাখির মতো বসেছিলাম কবে পদ্মা সেতু হবে। আমাদের ফেরির ভোগান্তি কমবে। কিন্তু কিছু বিশৃঙ্খলাকারীদের কারণে আজ পুরো পদ্মাসেতুতে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে যারা স্বপ্ন দেখতাম ঢাকা গিয়ে অফিস করবো বা পড়াশোনা করবো বা দিনে গিয়ে দিনে চলে আসবো- সেটা হচ্ছে না।
এদিকে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট মিডিয়া, টিভি মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ওই দিন সেতু দিয়ে অন্তত ৪৬ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়। ওই রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২৭ জুন থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন