সিলেটের গোলাপগঞ্জে নদীতে ফেলে যুবক হত্যার আসামী গ্রেফতার

সিলেটের গোলাপগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে ফেলে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম আলী হোসেন (৩৮)।

গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামি বুধবারী বাজার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে।

নিহতের ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৪/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি কওে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করা হয় (মামলা নং: (১২)/২০২৪ইং) দায়ের করেন আলী হোসেনের বোন রুবি বেগম (৪০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারী বানীগাজি পূর্ব মহল্লা জামে মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের শিরন্নী বিতরণকে কেন্দ্র করে মামলার ১নং আসামি অহিদ হোসেনের সাথে আলী হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টার দিকে চন্দরপুর কুশিয়ারা নদীর পাড়ে মামলার বাদি রুবি বেগমকে পেয়ে মামলার ৩নং আসামি জায়েদুল ইসলাম শিপু তার ভাইকে সাবধান করার কথা বলেন।

ঘটনার দিন গত ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টার দিকে মামলার ১নং আসামি মামলার অন্য আসামিদের নিয়ে চন্দরপুর বাজারে আলী হোসেনকে পেয়ে তার উপর হামলা করে। এরপর আলী হোসেন প্রাণ ভয়ে চন্দরপুর ব্রীজের দিকে দৌঁড় দিলে আসামিরা সহ আরও ১৪/১৫ জন তাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এসময় তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়ে আলী হোসেন কুশিয়ারা নদীতে পড়ে যায়। নদীতে পড়ার পর সাঁতার কেটে সে তীরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আসামিরা নদীতে তাকে লক্ষ্য করে ব্রীজের ওপর থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে কিছু সময়ের ভিতরেই সে নদীতে তলিয়ে যায়।

এদিকে খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গেলে অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াইটার দিকে ডুবুরি দল কুশিয়ারা নদীতে জাল ফেলে আলী হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও হামলার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।