সিংগাইরে জন্মান্ধ তরুণীকে ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা; থানায় অভিযোগ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রামে এক জন্মান্ধ তরুণীকে ধর্ষণে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তের পরিবার ভিকটিমকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে রেখেছে বলে ও অভিযোগ ওঠেছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে জানা গেছে, প্রতিবেশী প্রবাসী বাবুলের ছেলে অনিক (১৮) জন্মান্ধ ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিম পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত অনিকের পরিবার ভুক্তভোগীর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ভিকটিমকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তরুণী নিখোঁজ রয়েছে।

ভিকটিমের মায়ের অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গর্ভপাত করানোর জন্য তার মেয়েকে কোনো এক হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে চাপ দেয়া হচ্ছে । গত তিনদিন যাবত তার মেয়ের কোনো খোঁজ নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত অনিকের নানা ও মা তার মেয়েকে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার বিকেলে অনিকসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।

ভিকটিমের নিকটাত্মীয়রা জানান, অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে অন্যত্র আটকিয়ে রেখে এখন তারা কেউ মোবাইল রিসিভ করছে না। সে বেঁচে আছে কিনা তাও জানার উপায় নেই।

এদিকে, অভিযুক্ত অনিকের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন নামাজের অজুহাতে দরজা বন্ধ করে দেন। একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে পাশের বাড়ির অনিকের চাচি ও চাচাতো বোন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনারা লাফালাফি করবেন না। আমরা নিজেরা মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।

এব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে একজন অফিসারকে তদন্তর জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।