উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে আরো কম

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়েও ভোট কম পড়েছে দ্বিতীয় ধাপে। দ্বিতীয় ধাপে শতকরা ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের একটি সূত্র। এদিকে, প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল শতকরা ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।

গত ১৮ মার্চ সোমবার উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পাঁচ বিভাগের ১৬ জেলার ১১৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে পাঁচটি ধাপে ৪৮০টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধাপে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাগড়াছড়ির আরেক উপজেলা দীঘিনালায় ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ১২ শতাংশ।

এদিকে, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সিলেটের আরেক উপজেলা জৈন্তাপুরে ভোট পড়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ইসি থেকে পাওয়া প্রাথমিক ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ১২৩টি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৭৮টিতে। এর মধ্যে ২৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৩৮ জন। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে নির্বাচিত হয়েছেন দুজন। রাঙামাটির আটটি উপজেলার ফল এখনো পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় পর্বের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৯টি উপজেলায় ভোটের হার ৪০ শতাংশেরও কম। পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ভোটের হার বেশি। বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। খাগড়াছড়ির উপজেলাগুলোতে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও ভোট পড়ার হার তুলনামূলক বেশি। দ্বিতীয় ধাপে এই জেলার পাঁচটি উপজেলার চারটিতে ৫৬ থেকে ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঠাকুরগাঁও সদরে ভোট পড়েছে ৩২ দশমিক ২১ শতাংশ।

তবে উত্তরের জেলা বগুড়ার গাবতলী ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে ভোট পড়েছে ১৩ থেকে ৪৮ শতাংশ। গাবতলীতে ভোটের হার ৬৫ দশমিক ৩২। আর বগুড়া সদরে ১৩ দশমিক ১৩।

সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার উপজেলাগুলোতেও ভোটের হার তুলনামূলক কম।

এর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে রাজশাহীর বাগমারায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছিল ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ৬টি উপজেলায় ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়ে। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবার। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ সরকারবিরোধী প্রায় সবকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।