উইলিয়ামসনের কারণেই আইপিএলে সাকিবদের হার!

টি-টোয়েন্টিতে ১৭৮ রান, তার মাঝে আবার ফাইনাল ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই রানটা কম ছিল না। তবু সামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরবাদ।

প্রথম ১০ ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চেন্নাইয়ের কাছে হেলে যাওয়ার পর প্রয়োজন ছিল বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অধিনায়কের কার্যকর ভূমিকা। কিন্তু সেটি তো করতে পারলেনই না; বরং খামখেয়ালিপূর্ণ অধিনায়কত্ব করে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৮ উইকেটে হেরে গেলেন ক্যান উইলিয়ামসন। হেরে গেল হায়দরাবাদের অরেঞ্জ আর্মিরা।

কোনো হায়দরাবাদ সমর্থকই হয়তো এমনটি কস্মিনকালেও কল্পনা করেননি। কিংসদের কাছে এ নাজেহালের পেছনে অবশ্য তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন কেন উইলিয়ামসনকেই!

এবারের আইপিএলে সবচেয়ে সেরা বোলিং আক্রমণ হায়দরাবাদের। দলে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান ও সাকিব আল হাসানের মতো বোলার। অথচ তাদের কাউকেই ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেননি উইলিয়ামসন।

১৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। দলীয় ১৬ রানেই ফিরে যান হলুদ জার্সিধারীদের আগের ম্যাচের নায়ক ফ্লাপ ডু প্লেসিস। এরপর চাপটা স্বাভাবিকভাবেই আসার কথা ছিল তাদের ওপর। কিন্তু কী হল-হেসেখেলেই জিতে গেল তারা।

আসলে কী টের পায়নি? না। তাদের চেপে ধরতে পারেননি অরেঞ্জ আর্মিরা। সবাই হয়তো দ্বিতীয় প্রশ্নটিই তুলবেন। কারণ, দ্রুত প্রথম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চাপ সৃষ্টির মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি উইলিয়ামসন। আগের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লে সাকিব ভালো করলেও তাকে টেনে আনেননি। আর যখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে টানলেন তখন শেন ওয়াটসন ও সুরেশ রায়না ব্যাটে সেট হয়ে গেছেন।

এ দুই ব্যাটসম্যানকে সেট হওয়ার আগে রশিদ খানকে টেনেও চাপ সৃষ্টি করার পথে আগাননি উইলিয়ামসন। ধারাভাষ্যকাররাও এ বিষয়টি বারবার তাদের বর্ণনায় এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু উইলিয়ামসনের মাথায় যে কেন বিষয়টি আসেনি তা তিনিই ভালো জানেন।

শেষ পর্যন্ত এর কড়া মাশুল গুনে শিরোপা বঞ্চিত হল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছেই। হায়দরাবাদ সমর্থকদের মতে, হারের জন্য দায়ভার নিতেই হবে হায়দরাবাদ অধিনায়ককে।

আর আগের ম্যাচে চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকারি সাকিবকে কেন এক ওভারের বেশি করাননি, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বলবেন সাকিব ছক্কা খেয়েছে। কিন্তু ছক্কা তো ওয়াটসনের হাতে প্রায় সবাই খেয়েছে। পেসার সন্দীপ শর্মা তো ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়েছেন। সন্দীপ যখন বারবার মার খাচ্ছে কিন্তু তাকে তো বল করা থেকে বিরত রাখা হলো না। পেসারদের বারবার মার খাওয়ার পরও বিপরীতে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন স্পিনারকে আনার কথা কেন ভাবেননি উইলিয়ামসন। সেটিও তার অধিনায়কত্বের দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।