তামিমের সাহসিকতায় মুগ্ধ লঙ্কান অধিনায়ক

ইনিংসের ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বল। স্ট্রেইট ড্রাইভ করলেন মোস্তাফিজ, ফলো থ্রু’তে বলের গতি কমান সুরাঙ্গা লাকমল। বুঝতে পারেননি মোস্তাফিজ। উইকেটের পাশে বল রেখেই শুরু করেন পড়িমড়ি দৌড়। নন-স্ট্রাইকে থাকা মুশফিক তখন ঠায় দাঁড়িয়ে। অপর প্রান্তে রানআউট হয়ে যান মোস্তাফিজ।

২২৯ রানের মাথায় নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তামিম ইকবাল ইনজুরিতে থাকায় সকলেই ধরে নিয়েছিল শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। খোদ মুশফিকুর রহিমও শুরু করেছিলেন প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা। তখনই ক্রিকেট বিশ্ব দেখল অবাক দৃশ্য। ভাঙা কবজি নিয়েই এক হাতে ব্যাট নিয়ে নেমে পড়েছেন তামিম ইকবাল।

শুধু নেমেই ক্ষান্ত হয়নি তামিমের সাহসিকতা, মোকাবেলা করেন সুরাঙ্গা লাকমলের কোমড় উচ্চতার এক ডেলিভারিও। পরে ইনিংসে আরও ১৫ বল খেলেন মুশফিক। এই ১৫ বলে ৩২ রান পায় বাংলাদেশ। যা কিনা বাড়তি সাহস জোগায় ক্রিকেটারদের মনে। যার জের ধরে ১৩৭ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষেও তাই তামিমের সেই এক হাতেই নেমে পড়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসায় মশগুল হন দুই দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি সংক্ষেপে জানান তামিমের এই কীর্তি মানুষকে মনে রাখতেই হবে। আর এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত বাকি কথা তামিমের মুখ থেকেই শোনার কথা বলেন মাশরাফি।

লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের অবশ্য জানার সুযোগ নেই তামিমের এমন সাহসিকতার পেছনের গল্প। তবে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হিসেবে মাঠে থেকে তামিমের এই কীর্তিতে অভিভূত হয়েছেন ম্যাথুজ। বাংলাদেশি এ ওপেনারের পাশাপাশি মুশফিকুর রহীমের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেন ম্যাথুজ।

তিনি বলেন, ‘তামিম অনেক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। মুশফিকও খুবই ভাল ব্যাট করেছে, আমার তো মনে হয় সে দারুণ খেলেছে। শেষের দিকে মুশফিক ক্রিজে থাকা অবস্থায় তামিম নেমেছিল, যা তাদের ২০-৩০ রান যোগ করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু তবুও আমি মনে করি এই স্কোর তাড়া করে জেতা সম্ভব ছিল।’

এসময় বাংলাদেশ দলকে জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিয়ে ম্যাথুজ বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, তামিম অনেক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে এক হাতে ব্যাট করতে নেমে। এভাবে ব্যাট করা কখনই সহজ নয়। কৃতিত্ব বাংলাদেশকে দিতেই হয়। তারা আমাদের সব বিভাগেই পরাজিত করেছে।’