মাধ্যমিক পাস না করেই বিমান চালাচ্ছেন তারা!

মাধ্যমিক স্তরও (ম্যাট্রিক) পার করেনি, কিন্তু তারা সবাই এখন বৈমানিক। নামের পাশে যুক্ত হয়েছে পাইলট শব্দটি।

শুক্রবার অবাক হওয়ার মতো এমন বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।

ডন জানিয়েছে, এ বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের পাঁচ পাইলট নিয়ে একটি মামলা চলছে।

সেই মামলায় পিআইএর কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।

দেশটির সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ইজাজুল আহসান বিস্ময় প্রকাশ করে আদালতে মন্তব্য করেছেন, যেখানে মাধ্যমিক স্তর পার না করলে বাস পর্যন্ত চালানো যায় না, সেখানে কী করে হাজার হাজার মানুষের জীবন এই পাঁচ পাইলটের হাতে ছেড়ে দেয়া হল!

ওই মামলায় বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পিআইএর চার হাজার ৩২১ কর্মীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করে দেখা হয়েছে।

আরও ৪০২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।
এসব যাচাই-বাছাইয়ে চমকে দেয়ার মতো যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা হল, পিআইর পাঁচ পাইলট তাদের মাধ্যমিক স্তর পাসের সার্টিফিকেটই জমা দিতে পারেননি। মামলার শুনানিতে বিচারপতি নিসার পিআইএর ৪৯৮ পাইলটের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে লোকসানে চলেছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশন্যাল এয়ারলাইনস। তাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে সংস্থাটিকে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে অস্বীকার করায় সম্প্রতি ৫০ কর্মীকে বরখাস্ত করেছে তারা।