রাষ্ট্রদূতের বদলি এবং শেখ হাসিনার রিজার্ভ ফোর্স প্রসঙ্গে

মিল্টন হাসনাত : মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পেশাদার কূটনীতিক কাজি ইমতিয়াজ হোসেন ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বদলি হয়েছেন। অচিরেই তিনি তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।

তার স্থলাভিষিক্ত হবেন বর্তমানে মিয়ানমারে কর্মরত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান।

অস্ট্রেলিয়ায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করবার জন্য কাজি ইমতিয়াজ হোসেনকে ধন্যবাদ। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সিডনিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসুলেট অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা সুফিউর রহমানকে স্বাগত জানাবার অপেক্ষায় আছি।

এতক্ষণ যা বললাম তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই বদলিটা ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রুটিন কার্যক্রমের অংশ। কয়েকমাস আগেই রাষ্ট্রদূত কাজি ইমতিয়াজ হোসেন ব্যক্তিগত এক আলাপচারিতায় বলছিলেন, তার বদলির সময় হয়ে এসেছে। বাস্তবেও তাই হল। অথচ সিডনি হাইব্রিড লীগের এক নেতা নাকি বলে বেড়াচ্ছেন, ‘মিল্টনদের সাথে সখ্যের কারণে তারা রাষ্ট্রদূতকে বদলি করে দিয়েছে। ‘

বুঝতে পারছি না আমি হাসবো না কাঁদবো? তারা কী জানে নতুন যিনি দায়িত্ব নিয়ে আসবেন তার সাথে আমাদের কী সম্পর্ক! পাড়ার বড় ভাই বলে ইমতিয়াজ ভাইয়ের সামনে আমি পারতপক্ষে কোন কথাই বলতাম না। আমাদের শৈশবের সহস্রাধিক বিকেল কেটেছে ইমতিয়াজ ভাইদের বাসায়। তার ছোট ভাই নাজির আমার স্কুলের সহপাঠি। আমি তাদের বাসায় প্রথম কিশোর বাংলা পত্রিকা পড়ি। নাজিরের কাছে আমি প্রথম দাবা খেলা শিখি। ও প্রথম আমাকে যায় যায় দিন পত্রিকার কথা বলে। আমার শৈশবের অনেককিছু আমি নাজিরের কাছ থেকে শিখেছি। ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আমি কখনো নিজের স্বার্থে ব্যবহার করিনি। অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেবার পরেও না। রাজনীতির প্রশ্নে আমার অবস্থান খুব স্বচ্ছ এবং স্পষ্ঠ। এটা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতাও জানেন।

বাকিটা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। হাইব্রিডদের জন্য করুণা। ডলার, বোতল, ঢাকায় নেতাদের কাছে গিয়ে মিথ্যাচার, চরিত্র হণন…..সবকিছু নিয়ে নামলেও বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের দাবায় রাখা যায় না।

আমরা হলাম শেখ হাসিনার রিজার্ভ ফোর্স। প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে জানি।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু শেখ হাসিনা

(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)