সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ প্রার্থী ইসমাইল, ভোটের কথা জানেন না মা-বাবাও

ইসমাইল হোসেন (২৭)। এবার ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসন থেকে নির্বাচন করছেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) হয়ে। বলা চলে তিনিই এবারের সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ প্রার্থী।

ইসমাইল ঢাকায় ছোট একটি ব্যবসা করেন। বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ফয়লা গোরস্থানপাড়ায়। তার বসবাসের এলাকাটি ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলকায়। কিন্তু, প্রার্থী হয়েছেন পার্শ্ববর্তী সংসদীয় আসনে।

বাবা ইব্রাহিম হোসেন একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। মা ফাতেমা বেগম গৃহিণী। ছেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হলেও তাতে মা-বাবার বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই। এমনকি মনোনয়ন বৈধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ছেলের নির্বাচনের বিষয়টিও জানতেন না।

ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে প্রকৌশলী ইসমাইল জানান, জনগণের সেবা করার জন্যই তিনি নির্বাচনে এসেছেন। স্বপ্ন, তরুণদের নিয়ে সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা।

নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় দেখা গেছে, ইসমাইল ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। নগদ টাকা আছে ৪ লাখ ১৪ হাজার, উপহারের স্বর্ণ ৫ ভরি। দাম জানা নেই।

ইসমাইল ১৯৯১ সালে ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ক্রেডিট কার্ড বকেয়া থাকার অভিযোগে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে মনোনয়ন ফিরে পান।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয় পরিবারকে কেন জানাননি— এমন প্রশ্নে ইসমাইল বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হিসেবে টিকব কিনা, নিশ্চিত না হয়ে জানাতে চাইনি। এখন সবাই জানে, তারা উচ্ছ্বসিত।’

বিএনএফ’র এই প্রার্থী বলেন, ‘আপিলের সময় নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমিই সম্ভবত দেশে সর্বকনিষ্ট পুরুষ প্রার্থী।’

শুক্রবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।

কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামে গিয়ে কথা হয় ইসমাইলের মা ফাতেমা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার চার ছেলে-মেয়ে। ইসমাইল সবার বড়। সে অনেক আগে আমাদের জানিয়েছিল নির্বাচনের কথা। কিন্তু, তার বাবা অনেক টাকা লাগবে বলে নিষেধ করেছিল। এখন শুনছি, সে প্রার্থী হয়েছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, সে যেন নির্বাচনে ভাল করতে পারে।’